মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার পর পরিবহণ দফতর আমজনতার জন্য সরকারি বাস পরিষেবা বৃদ্ধি করতে উদ্যোগী হচ্ছে পরিবহণ দফতর। রাস্তায় সরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে অস্থায়ী চালক ও কন্ডাক্টর পদে কয়েকশো কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বলার আগেই অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের অনুমোদন চেয়ে নবান্নে আবেদন জানানো হয়েছে, যাতে পরিষেবা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। ২ জানুয়ারি নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী পরিবহণ দফতরকে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী চান, সরকারি বাস পরিষেবার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের যাতায়াত আরও সহজ এবং সাশ্রয়ী হোক। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, বিশেষ করে গ্রামীণ এবং মফস্সল এলাকাগুলিতে বাস পরিষেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে মানুষের দৈনন্দিন যাতায়াতে স্বস্তি এনে দিতে চান তিনি। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী, সরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি রাস্তায় আরও বেশি ট্রিপের ব্যবস্থা করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর করতে পরিবহণ দফতরের পরিকল্পনায় নতুন কর্মসংস্থান তৈরির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। চালক এবং কন্ডাক্টর পদে নিয়োগের মাধ্যমে শুধুমাত্র পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতিই নয়, বরং রাজ্যের বেকার যুবকদের জন্যও কাজের সুযোগ তৈরি করা হবে। পরিবহণ দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই নিয়োগের মাধ্যমে সরকারি বাসগুলির কার্যক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়ানো সম্ভব হবে। প্রথম ধাপে অস্থায়ী কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এ জন্য যোগ্য প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে। এক বার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে রাস্তায় সরকারি বাসের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে। দ্বিতীয়ত, নতুন নিয়োগের ফলে বর্তমানের তুলনায় সরকারি বাসের ট্রিপের সংখ্যা বহুলাংশে বাড়বে। এর ফলে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষার সময় কমে যাবে এবং ভ্রমণ আরও সাশ্রয়ী হবে।
সরকারি বাস পরিষেবার উন্নতির এই উদ্যোগে কিছু সমস্যাও উঠে আসতে পারে। যেমন— অস্থায়ী কর্মীদের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি, প্রশিক্ষণের খরচ, এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিষেবার উন্নতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ইত্যাদি। তবে পরিবহণ দপ্তরের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বাস্তবায়িত করার জন্য এই সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার প্রস্তুতি রয়েছে। পরিবহণ দফতরের এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র যাত্রী পরিষেবার উন্নতি নয়, বরং রাজ্যের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বেশি সংখ্যক বাস চালু হলে পরিবহণ ব্যবস্থার উপর সাধারণ মানুষের নির্ভরতা বাড়বে। পাশাপাশি, নতুন চাকরির সুযোগের ফলে অনেক পরিবার আর্থিক সুরক্ষা পাবে।
পরিবহণ দফতরের আশা, যদি এই পরিকল্পনা সফল হয়, তা হলে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের প্রতি দিনের যাতায়াতের সুযোগ-সুবিধা অনেকটাই বাড়বে। রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থা আরও উন্নত ও কার্যকর হবে। একই সঙ্গে, সরকারের এই পদক্ষেপ মানুষের মধ্যে আস্থা এবং নিরাপত্তার বার্তা দেওয়াও সম্ভব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy