ঘড়িতে তখন দুপুর ৩টে বেজে গিয়েছে। ঠিক সেই সময় প্রবল শব্দ শুনতে পেয়ে চমকে উঠলেন সকলে। আওয়াজ শুনে ছুটে গিয়ে দেখলেন, একটি দৈত্যাকার ধাতব চাকতি মাটিতে গেঁথে রয়েছে। যেন কোনও দানব সেটিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। চাকতির চারদিক গরম হয়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে স্থানীয়দের ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশও। কোথা থেকে এমন রহস্যময় চাকতি এসে পড়ল তা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে যায় এলাকাবাসীদের মধ্যে।
সন্দেহ হওয়ায় মহাকাশ সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেন। এর পরেই প্রকাশ্যে আসে আসল তথ্য। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি সোমবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী দুপুর ৩টে নাগাদ কেনিয়ার দক্ষিণে মাকুয়েনি কাউন্টির মকুকু গ্রামে ঘটেছে। দৈত্যাকার চাকতির রহস্য সমাধানে কেনিয়ার মহাকাশ সংস্থা ‘কেনিয়া স্পেস এজেন্সি’ (কেএসএ)-র কর্মীদের খবর দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকালেই মহাকাশ সংস্থার গবেষকেরা সেখানে পৌঁছে যান।
বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করে তাঁরা জানান যে, এই চাকতিটি আসলে রকেটের অংশ। চাকতিটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছিল যে, মহাকাশে রকেট পাঠানোর পর তা রকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং পুনরায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সংস্পর্শে আসতে না আসতেই তা আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। কোনও ভাবে এই অংশটি ধ্বংস হয়নি।
বুধবার কেএসএ-র তরফে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে বিবৃতি দিয়েও সেই কথা জানানো হয়। স্থানীয়েরা যে তৎপরতার সঙ্গে মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছে তারা।
মহাকাশ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই চাকতিটির ওজন ৫০০ কিলোগ্রামের কাছাকাছি। তার পরিধি আড়াই মিটার। তবে তা থেকে কোনও বিপদ হওয়ার আশঙ্কা নেই। বস্তুটি এখন মহাকাশ সংস্থার তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এখনও প্রয়োজনীয় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন সংস্থার গবেষকেরা।