বন্ধ ডালিমের বাড়ি। ছবি: বিশ্বজিত্ রায়চৌধুরী।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এনআইএ-র জালে বাসিন্দা ডালিম শেখ ধরা পড়েছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই নতুন করে জল্পনা শুরু হল এলাকায়।
সংবাদমাধ্যমে খবর জানাজানি হওয়ার পর, বোলপুর মুলুকের শান্তিপল্লি এলাকায় চাউর হয় হাবিবুর শেখ ও ডালিম শেখ ধরা পড়েছে এনআইএর হাতে। কিন্তু পরে, জানা যায় যে হাবিবুর ধরা পড়েছে, তার বাড়ি মুলুকের শান্তিপল্লি নয়, মুর্শিদাবাদে। প্রতিবেশীদের কাছে ছেলের গ্রেফতারির খবর পেয়ে, কেঁদে ফেলেন হাবিবুর শেখের মা জ্যোত্স্নাবিবি। পরে, তাঁর ছেলে নয় শুনে বলেন, “ডালিম শেখ যখন এনআইএ-র জালে ধরা পড়েছে, তখন ডালিম নিশ্চয় জানাবে কোথায় হাবিবুর?”
এ দিন একই পল্লিতে ডালিম শেখের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, এনআইএ সিল করে দেওয়া বন্ধ বাড়ির দরজায় আগাছা জন্মেছে। উঠোনজুড়ে ঘাস-বুনো ঝোঁপের জঙ্গল। প্রতিবেশীরা অবশ্য জানালেন, দিন দশেক আগে, এলাকায় এক সন্ধ্যায় দেখা গিয়েছিল ডালিমকে। বাড়িতে না ঢুকলেও, সাইকেলে করে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পাড়ার কয়েকজনের সঙ্গে কথাও নাকি বলেছিলেন ডালিম। শেষ দেখা গিয়েছিল লাদেনপট্টির মিঠু শেখের বাড়িতে।
সংবাদমাধ্যমের জানাজানি হওয়ার পর, স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেদের মধ্যে নানা কথা বলেন। প্রকাশ্যে কেউ এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও আড়ালে স্বীকার করছেন, ডালিম শেখ অচেনা লোক নিয়ে আসত এ পাড়ায়। তার হাত ধরেই এলাকার একটি কয়েকজন বসত করেছিল। সেই সন্দেহভাজনদের গোপন ডেরায় ঠিক কি হত তা সঠিক না বললেও, তাঁদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করা মানুষদের আচরণ যে সন্দেহজনক তা এক বাক্যে স্বীকার করছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।
বুধবার দুপুরে, শান্তিপল্লি এলাকার এক গৃহবধূ বলেন, “ডালিম কিছুদিন আগে এলাকায় ফিরে মিঠু রহমান ওরফে হাফিজুর রহমানের বাড়িতে গিয়েছিল।” যদিও মিঠু শেখের পরিবার এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন তাঁরা। এ দিন স্থানীয় সিয়ান মুলুক পঞ্চায়তের উপ-প্রধান পাপিয়া মুখোপাধ্যায় এবং বোলপুর ব্লকের ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “এনআইএ জালে যখন ডালিম শেখ ধরা পড়েছে, গোটা বিষয়টা পরিষ্কার হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy