ঠেকুয়া বানানোর একটি নিয়ম হল শুধুমাত্র যাঁরা ছটপুজো করছেন, একমাত্র তাঁরাই এটি বানাতে পারেন। তবে চিরাচরিত ঠেকুয়া ছাড়াও অন্য ভাবে ঠেকুয়া বানানো যায়, যা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:১২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৯
ছটপুজোর অন্যতম প্রধান প্রসাদ হল ঠেকুয়া। এই খাস্তা মিষ্টিটি ছটপুজোর শেষ অর্ঘ্য নিবেদনের পর সূর্যদেবকে নিবেদন করা হয়।
০২০৯
ঠেকুয়া বানানোর পদ্ধতি থেকেই এর নামকরণ। ‘থুকা হুয়া’ কথাটি থেকে ঠেকুয়া নামটি এসেছে। ‘থুকা হুয়া’ কথার অর্থ কোনও কিছুকে আকার দেওয়া।
০৩০৯
তবে এই ঠেকুয়া বানানোর একটি নিয়ম হল শুধুমাত্র যাঁরা ছটপুজো করছেন, একমাত্র তাঁরাই এটি বানাতে পারেন। তবে চিরাচরিত ঠেকুয়া ছাড়াও অন্য ভাবে ঠেকুয়া বানানো যায়, যা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর।
০৪০৯
নারকেল ঠেকুয়া: গুড়ের মধ্যে জল এবং ঘি দিয়ে প্রথমে গুড়ের রস বানিয়ে নিতে হবে। এ বার আটা, নারকেল, এলাচ এবং যদি কাজু অথবা আমন্ড দিতে চান, তা একসঙ্গে গুড়ের রস দিয়ে মেখে একটা তাল বানাতে হবে।
০৫০৯
এর পরে ছাঁচে ফেলে তেলে বাদামি করে ভেজে নিলেই তৈরি নারকেল ঠেকুয়া। যদি ছাঁচ না-ও থাকে, তা হলে কাঁটা চামচ দিয়ে ইচ্ছামতো নকশা করে নিতে পারেন।
০৬০৯
বেক্ড চকোলেট এবং কলার ঠেকুয়া: ছটপুজো ছাড়া যাঁরা বাড়িতে চিরাচরিত ঠেকুয়াকে একটু অন্য ভাবে বানাতে চান, তাঁরা এটি বানাতে পারেন। বেক করা হয় বলে এটি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। ছোটরাও এটি খুব পছন্দ করবে।
০৭০৯
আটা, চিনি, অতিরিক্ত পাকা কলা, অল্প একটু নুন একসঙ্গে মেখে আগে থেকে ১৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গরম করে রাখা ওভেনে ১৫-২০ মিনিট বেক করলেই তৈরি এই ঠেকুয়া। এর মধ্যে ইচ্ছামতো কাজু অথবা চকো চিপস্ও মেশাতে পারেন।
০৮০৯
ওট্স ঠেকুয়া: স্বাস্থ্যসচেতন খাদ্যপ্রেমীদের জন্য ওটস ঠেকুয়া খুবই উপাদেয়। রোলড ওট্স, গুড় এবং ঘি একসঙ্গে মেখে একটি তাল বানাতে হবে।
০৯০৯
এর পরে ইচ্ছামতো ছাঁচে ফেলে ভেজে নিলেই তৈরি ওট্স ঠেকুয়া। তবে আরও বেশি স্বাদের জন্য এর মধ্যে এলাচ অথবা জায়ফল গুঁড়ো দিতে পারেন। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।