—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই স্কুলগুলিকে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ফলাফল পড়ুয়াদের দিতে হবে। তার আগে স্কুলগুলিকে ফলাফল তুলতে হবে বাংলা শিক্ষার এসএমএস পোর্টালে। সেখান থেকেই ফলাফলের ‘প্রিন্ট’ বের করে ছাত্রছাত্রীদের দিতে হবে। কিন্তু যান্ত্রিক সমস্যায় সেই পোর্টালেই তথ্য তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে স্কুলগুলিকে। পোর্টালে নম্বর তুলতে কোনও শিক্ষক রাত জাগছেন, তো কেউ ভোর।
সোনামুখীর ধানশিমলা বিদ্যাভবনের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক জয়দেব দে বলেন, ‘‘ফলাফল প্রকাশ করতে হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন রয়েছে। এ দিকে পোর্টাল খুব ধীরে গতিতে কাজ করছে। দিনের বেলা সে ভাবে কোনও কাজই হচ্ছে না। কোনও কোনও দিন মাঝ রাতে শিক্ষকদের নম্বর তুলতে হচ্ছে। আবার কোনও দিন ভোরে উঠে কাজ করতে হচ্ছে। তাতেও সময়ে কাজ শেষ হবে কি না বোঝা যাচ্ছে না।’’
রাত জেগেই পোর্টালে নম্বর তোলার কাজ শেষ করেছে কিছু স্কুল। ইঁদপুরের ভেদুয়াশোল হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক সৌমেন পাত্র বলেন, ‘‘শিক্ষকেরা কখনও রাত ২টো থেকে কাজ করেছেন। আবার রাতে না হলে ভোরে উঠেও নম্বর তোলার কাজ সেরেছেন।’’ অধিকাংশ স্কুলের শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, দিনের বেলা প্রায় কাজই হচ্ছে না। একই অভিজ্ঞতা ইন্দাসের ভাকুদা বিবেকানন্দ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজলবরণ চৌধুরীর। তালড্যাংরা ফুলমতি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রবীর ডাঙর বলেন, ‘‘রাত জেগেই কাজ করতে হচ্ছে। আশা করা যায়, দু’-এক দিনেই কাজ শেষ হবে।’’
বড়জোড়ার এক শিক্ষকের মতে, প্রতি বছরই ফলাফল তোলার সময় এসএমএস পোর্টাল ভীষণ ধীরে চলে।সব স্কুল এক সঙ্গে কাজ করে বলেই হয়তো এই সমস্যা। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের ভাবা উচিত।’’ কেউ কেউ জানাচ্ছেন, গত বছর পর্যন্ত রাতে ঠিকঠাক কাজ করা যেত। কারণ রাতে চাপ কম থাকত। এখন নম্বর তোলার তাগিদে রাতেও সবাই কাজ করেন। তাই পোর্টালে খুব ধীরে কাজ হয়।
এ সব সমস্যার জন্য অনেকেই বিকল্প উপায়ও তৈরি রাখছেন। বড়জোড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক জয়দেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের সময়ে ফলাফল দিতে হবে। তাই হাতে তৈরি মার্কশিট ও প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy