হার, জয়, হার, জয়। আইপিএলে এ ভাবেই এগিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং লখনউ সুপার জায়ান্টস। মঙ্গলবার অজিঙ্ক রাহানে-ঋষভ পন্থেরা মুখোমুখি হবেন ইডেন গার্ডেন্সে। পয়েন্ট তালিকায় ভাল জায়গায় থাকতে হলে জিততে হবে দু’দলকেই। শেষ ম্যাচে জয় আত্মবিশ্বাসী রাখবে দু’পক্ষকেই। লড়াই হতে পারে টান টান।
কেকেআর বাদে আইপিএলের দলগুলির মধ্যে ইডেনে যারা সবচেয়ে বেশি সমর্থন পায়, তাদের অন্যতম লখনউ। পন্থদের দলের সঙ্গে এ শহরের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। কলকাতার বাসিন্দা শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েন্কা এই দলের মালিক। তিনি আবার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসেরও কর্ণধার। শহরের ক্রীড়াপ্রেমীদের আবেগ কাজে লাগাতে কলকাতার মাঠে লখনউকে খেলান সবুজ-মেরুন জার্সি পরিয়ে। এ বার অবশ্য তেমন কিছুর ঘোষণা ম্যাচের আগের দিন পর্যন্ত সরকারি ভাবে করেননি লখনউ কর্তৃপক্ষ।
এ শহরে লখনউয়ের সমর্থন পাওয়ার আরও একটি কারণ আছে। যা সম্পূর্ণ ক্রিকেটীয়। খেলা হবে ইডেনের ২২ গজে। লখনউয়ের দুই ক্রিকেটার শাহবাজ় আহমেদ এবং আকাশ দীপ হাতের তালুর মতো চেনেন পিচ। ইডেনে লখনউ নামাতে পারে বাংলার দুই ক্রিকেটারকে। কলকাতাকে নির্ভর করতে হবে ভিন দেশি এবং ভিন রাজ্যের ক্রিকেটারদের উপর। এ ছাড়াও কেকেআরকে সতর্ক থাকতে হবে নিকোলাস পুরানের ব্যাপারে। লখনউয়ের ক্যারিবিয়ান ব্যাটার বেশ ভাল ফর্মে রয়েছেন। এডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, মিচেল মার্শ, শার্দূল ঠাকুর, আবেশ খান, রবি বিশ্নোই, দিগ্বেশ রাঠির মতো ক্রিকেটারেরাও রয়েছেন লখনউয়ে। ঘরের মাঠ হলেও বাড়তি আত্মবিশ্বাসের জায়গা নেই কেকেআরের।
কলকাতাকে আশ্বস্ত করতে পারে মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটার বেঙ্কটেশ আয়ার এবং রিঙ্কু সিংহের ফর্মে ফেরা। রাহানে এবং অঙ্গকৃশ রঘুবংশীও রানের মধ্যে আছেন। তবে উদ্বেগে রাখবে ওপেনিং জুটি। কুইন্টন ডি’কক একটি ম্যাচ ছাড়া রান পাননি। সুনীল নারাইন ব্যাট হাতে এ বার এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ। ইডেনের ২২ গজে স্পিনারেরা সাহায্য পেতে শুরু করেছেন। নারাইনের সঙ্গে বরুণ চক্রবর্তী এবং মইন আলিকে দেখা যেতে পারে। কলকাতার জোরে বোলিং আক্রমণের দায়িত্বে থাকবেন হর্ষিত রানা এবং বৈভব অরোরা। আন্দ্রে রাসেলও বল হাতে কার্যকর। বোলিং নিয়ে তেমন চিন্তা নেই কলকাতার।
লড়াই হবে মূলত দু’দলের স্পিনার এবং ব্যাটারদের। শক্তির নিরিখে কাছাকাছি দু’দল। সব মিলিয়ে কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীরা একটা উপভোগ্য ম্যাচ দেখতে পারেন। মঙ্গলবারের লড়াইয়ে সবুজ-মেরুন রং লাগলে তো কথাই নেই। সোমবার পন্থকে নিয়ে যুবভারতীতে মোহনবাগানের খেলা দেখতে গিয়েছিলেন গোয়েন্কা। গ্যালারিতেও রাহানেদের টক্কর দেওয়ার জন্য তৈরি লখনউ। হোম ম্যাচের পূর্ণ আবহ না-ও পেতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
১১ মৃত্যুর জের, আইপিএল জয়ের উৎসবে কী কী করা যাবে না, শনিবার ঠিক করবে বোর্ড, আর কী কী নিয়ে আলোচনা?
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ