তারাপীঠ মন্দির চত্বরে লাগানো হচ্ছে আলো। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
তারা অঙ্গে দেবী মা কালী। কালী পুজোতে মা তারাকে এই রূপেই পুজো করা হয়। আর সেই পুজো দেখতে তারাপীঠে দূর দূরান্তের অসংখ্য দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে। করোনা আবহে এ বছর কালীপুজোয় তারাপীঠে সেই সাজো সাজো রব উধাও। কালীপুজোর আগের দিন পর্যন্ত মন্দির চত্বরে দর্শনার্থীদের ভিড় নেই। ভিড় নিয়ন্ত্রণে অন্যবার মন্দির চত্বরে বাঁশ দিয়ে বিশেষ লাইনের ব্যবস্থা হয়। দর্শনার্থীদের লাইনে দাঁড়াবার জন্য মাথার উপর ত্রিপল টাঙিয়ে ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়। এ বছর সেরকম কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতি বছরের মতো মন্দির চত্বর অবশ্য আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া কোভিড পরিস্থিতির জন্য তারাপীঠ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু সুরক্ষা বিধিও নেওয়া হয়েছে।
তারাপীঠ মন্দির সেবাইত সমিতির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, অন্যবার কালীপুজো উপলক্ষে তারাপীঠে দর্শনার্থীদের যেমন ভিড় হয় এ বার করোনা আতঙ্কে এবং ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ার জন্য দর্শনার্থীদের ভিড় নেই। রীতি মেনে কালীপুজোর রাতে তারা অঙ্গে কালী পুজো হবে। নিশিপুজো ঘিরে অন্য বার যেমন বেশি রাত পর্যন্ত দর্শনার্থীদের সমাগম থাকার জন্য মা তারার মন্দির খোলা রাখতে হয়, এ বছর দর্শনার্থীদের ভিড় না থাকার জন্য অধিক রাত পর্যন্ত মন্দির খোলা রাখার প্রয়োজন হবে না বলে মনে করেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সদস্যরা।
মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় জানান, করোনা পরিস্থিতির জন্য দর্শনার্থীদের জন্য এ বছর মন্দিরে প্রবেশ করার জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক। এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে মন্দির চত্বরে মাইকিং করা হচ্ছে। মন্দির চত্বরের প্রবেশ দ্বারে থার্মাল গান চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত ধুয়ে মন্দির চত্বরে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে দর্শনার্থীরা যাতে পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলেন সে জন্য বৃত্ত আঁকা হয়েছে। অন্য বার দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য যেমন মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা কর্মী বাড়ানো হয়, এ বছর দর্শনার্থীদের ভিড় না থাকার জন্য বর্তমানে যে ৬০ জন (পুরুষ ৫০, মহিলা ১০ জন) নিরাপত্তা কর্মী আছেন তাঁদেরই রাখা হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তা কর্মী রাখা হয়নি।
অন্য বার কালীপুজো ঘিরে দর্শনার্থীদের ভিড়ের আশায় লজ মালিকরাও লাভের মুখ দেখেন। সেই মতো লজ মালিকরাও প্রস্তুতি নেন। কিন্তু এ বছর কালীপুজো ঘিরে দর্শনার্থীদের ভিড়ের আশা দেখছেন না লজ মালিকরাও। তারাপীঠ লজ মালিক সমিতির সম্পাদক সুনীল গিরি বলেন, ‘‘গত সপ্তাহ পর্যন্ত তারাপীঠে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল। কিন্তু এ বছর কালীপুজো ঘিরে তারাপীঠে দর্শনার্থীদের তেমন ভিড় নেই।’’ স্থানীয় বাসিন্দারাও জানান, যতদিন না হাওড়া থেকে রামপুরহাট বা শিয়ালদহ থেকে রামপুরহাট ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তারাপীঠে দর্শনার্থীদের ভিড় হবে না। আর তারাপীঠে দর্শনার্থীদের ভিড় না থাকার জন্য তারাপীঠে কালীপুজো ঘিরে যেমন উৎসাহ উন্মাদনা দেখা যেত এ বছর সেই উৎসাহ উন্মাদনা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy