বগটুই গ্রামের পোড়া বাড়িতে তদন্তে সিবিআই। ফাইল চিত্র।
ভাদু শেখ খুন এবং বগটুই কাণ্ড, দুটি পৃথক মামলায় মঙ্গলবার জামিন পেল ১৬ জন। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে দু’টি মামলার তদন্তভার নেওয়ার ৮৯ দিনের মধ্যে সোমবার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। সিবিআইয়ের চার্জশিট থেকে যাদের নাম বাদ গিয়েছে, এ দিন রামপুরহাট এসিজেএম আদালতে তাদের জামিনের আবেদন জানান অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা। আদালত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাদু খুনে ধৃত পাঁচ জন এবং বগটুই কাণ্ডে ধৃত ১১ জনের জামিন মঞ্জুর করে। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবেই এই জামিন বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিংহ।
বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু খুন এবং পর পর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১০ জন মারা যাওয়ার পৃথক মামলার সিবিআয়ের চার্জশিটে বেশ কয়েক জন অভিযুক্তকে আপাতত অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ দিন তাদের মধ্যেই কয়েক জনের জামিন হয়েছে। এদের অনেকের নাম যেমন এফআইআরে ছিল না, তেমনই ৮৫ দিনের বেশি জেল হেফাজতে থাকতে হয়েছে। আবার কারও নাম এফআইআরে থাকার পরে পুলিশ বা সিবিআই তাদের গ্রেফতার করেছে এবং তিন মাসের কাছাকাছি জেল হেফাজতে কাটাতে হয়েছে।
সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিংহ জানান, ভাদু শেখ খুনের মামলায় সিবিআই ৯ জনকে চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে আবার মামলায় অর্ন্তভুক্ত করা যেতে পারে। জানা গিয়েছে, ভাদু শেখ খুনের মামলায় যে ৯ জনের নাম চার্জশিট থেকে বাদ গিয়েছে, তাদের মধ্যে আছে নিউটন শেখ, হানিফ শেখ, সেরা শেখ, ভাসান শেখ, সফি শেখ, রাজা শেখ, ছোট লালন শেখ, মাসাদ শেখ ও সোনা শেখ। এদের মধ্যে হানিফ শেখ, সেরা শেখ, ভাসান শেখ, রাজা শেখ, সফি শেখ ৮০ দিনের বেশি জেল হেফাজতে আছে। এদের সকলের মধ্যে পাঁচ জনের সন্ধ্যায় জামিন হয়।
অন্য দিকে, বগটুই কাণ্ডে যে ১২ জনের নাম চার্জশিট থেকে বাদ গিয়েছে, তাদের মধ্যে সেদারুল শেখ ওরফে সাবু এবং সাদরুল শেখ ওরফে পল্টু এই দু’জনকে সিবিআই ১৪ এপ্রিল মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছিল। বাকিদের অনেকে ২২ মার্চ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কিছু দিন পুলিশ হেফাজতে থাকার পরে, বাকি সময় জেল হেফাজতে আছে। চার্জশিটে ১২ জনের নাম থাকলেও এক জন গ্রেফতারই হয়নি। ফলে ১১ জনে নামে এ দিন জামিনের আবেদন জমা পড়ে। সকলের জামিন হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy