পাঁচিলের জন্য কাটা হয়েছে রাস্তা। নিজস্ব চিত্র।
পাঁচিল বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিশ্বভারতীতে। এ বার সঙ্গীতভবন সংলগ্ন এলাকায় পাঁচিল তৈরির জন্য রাস্তা কাটায় তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন বলে অভিযোগ করলেন আশ্রমিক থেকে শুরু করে বিশ্বভারতীরই কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পাঁচিল তৈরির জন্য সঙ্গীতভবনের পাশে এক রেস্তোঁরা সংলগ্ন রাস্তা শুক্রবার বন্ধ করে প্রায় তিন ফুটের গর্ত করা হয়। তাতে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিশ্বভারতীর কিছু বর্তমান, প্রাক্তন কর্মী এবং আশ্রমিকের বাড়ি ওই রাস্তাতেই। বাড়ি ঢোকার একমাত্র রাস্তা বন্ধ হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সুলগ্না মুখোপাধ্যায় তার প্রতিবাদ করলে বিশ্বভারতীর তরফ থেকেই তখন দুটি গাছ কেটে বিকল্প রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়। তবে সেই রাস্তাটি এতই ছোট যে সেই পথে যাতায়াত সম্ভব হলেও অ্যাম্বুল্যান্স বা দমকলের প্রবেশ কষ্টকর।
সুলগ্না মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “আমাদের প্রবেশপথ বিশ্বভারতীর ভিতর দিয়ে হওয়ায় কোনও ইমারতি দ্রব্য নিয়ে আসতে হলেও বিশ্বভারতীর অনুমতি নিই। সেখানে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ রাস্তা খুঁড়ে পাঁচিল তৈরির আগে একবার জানানোর প্রয়োজনও মনে করেননি।’’ স্থানীয়দের মতে, বিশ্বভারতী নিজের জায়গা ঘিরতেই পারে। কিন্তু, প্রকৃত বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না করে, না-জানিয়ে প্রবেশপথ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত অমানবিক।
ছাত্রী ও সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপিকা হিসেবে ৭০ বছর ধরে বিশ্বভারতীর সঙ্গে যোগ রয়েছে ৮২ বছরের কল্পিকা মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, ‘‘প্রাক্তন উপাচার্য সব্যসাচী ভট্টাচার্য দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা করে দিয়েছিলেন। এখনকার কর্তৃপক্ষ সেই রাস্তা বন্ধ করার আগে খবরও দেন না। এই বয়সে জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রয়োজন হলে কী করব বুঝতে পারছি না।”
বিশ্বভারতীর দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই রাস্তা তৈরির কাজ করছে সেন্ট্রাল পিডব্লিউডি। আমরা জানলে বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করতাম। যাঁদের সমস্যা, তাঁরা আমাদের কাছে এসে বা ফোন করে জানালে আমরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’’
অন্য দিকে, সেবাপল্লি এনসিসি অফিস সংলগ্ন এলাকায় বিশ্বভারতীর জমিতে নির্মাণ কাজের অভিযোগে বাড়ির ভিতর দিয়েই পাঁচিল তৈরি করল বিশ্বভারতী। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, বছরখানেক আগেই বাড়ি সরিয়ে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল বাড়ির মালিককে। পরে মাপজোক করেও তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় তাঁর তৈরি বাড়ির কিছুটা অংশ বিশ্বভারতীর জমির ভিতরে ঢুকে আছে। তার পরেও মালিক বাড়ি সরাননি। বর্তমানে নিজের জমি পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বিশ্বভারতী। সেই সূত্রেই ১৫ দিন ধরে ওই এলাকায় পাঁচিল নির্মাণের কাজ চলছে। এ দিন দেখা গেল ওই বাড়িটির ভিতর দিয়েই নিজের অংশটুকু পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলেছে বিশ্বভারতী। তবে, এ বিষয়ে বাড়ির মালিক বা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy