পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন ফিরহাদ। বলেন, ‘‘প্রাণ এত সস্তা নয়। দোষীদের গ্রেফতার করতেই হবে।’’ —ফাইল চিত্র।
বীরভূমে দুই তৃণমূল কর্মী খুনে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। দোষীদের ধরার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সময় বেঁধে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। তার পরেই বিজেপিকে নিশানা করে ফিরহাদের মন্তব্য, ‘‘যতই গুন্ডা এবং তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে সাঁড়াশি আক্রমণ চালাও, মেরে পাস মা হ্যায় (আমার কাছে মা আছে)। এবং তৃণমূলের পাশে মানুষ আছে। কেউ কিছু করতে পারবে না।’’
কিছু দিন আগে মাড়গ্রামে দুই তৃণমূল কর্মী খুন হন। এক জন জিয়ারুল আলি ওরফে লাল্টু এবং অন্য জন নজরুল ইসলাম ওরফে নিউটন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার মাড়গ্রামে সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ এবং সাংসদ শতাব্দী রায়। ওই খুনের ঘটনা নিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘‘আগে নানুর, মাড়গ্রাম ইত্যাদি এলাকা সব সময় উত্তপ্ত থাকত। কিন্তু সারা বাংলায় যখন শান্তি আসছে, তখনই ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই অঞ্চলগুলোতে হিংসা ছড়াচ্ছে বিরোধীরা।’’ তিনি মৃতদের পরিবারের কাছে ‘ক্ষমা’ চেয়ে নেন। বলেন, ‘‘ক্ষমা করবেন, আপনাদের স্বামীকে বাঁচাতে পারলাম না। তবে আপনাদের পরিবারের পাশে আমরা সব সময় থাকব।’’ এর পর পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন ফিরহাদ। বলেন, ‘‘প্রাণ এত সস্তা নয়। দোষীদের গ্রেফতার করতেই হবে।’’
দলীয় কর্মীদের খুনের ঘটনায় ফিরহাদের আঙুল বিরোধীদের দিকে। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘একই গুন্ডা হিন্দু এলাকায় গেলে বিজেপি আর মুসলিম এলাকায় গেলে সিপিএম কিংবা কংগ্রেস হয়ে যায়। আর তৃণমূলকে মারতে পারলেই ফান্ড মেলে। তাই মরতে হচ্ছে তৃণমূল কর্মীদের।’’
ওই সভামঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও আক্রমণ করে ফিরহাদ বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে সিউড়ির সভায় (অমিত শাহের) ঝাড়খণ্ড থেকে গুন্ডা এনে মাঠ ভরানো হয়েছে। মশানজোড় ড্যামের কাছে গাড়ি রেখে টোটো করে এসেছে ওই গুন্ডারা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy