গোঁসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে তাঁর সভা শেষে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় সাবধান করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কোচবিহারের সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুল মাঠে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় দলীয় নেতৃত্বকে সাবধান করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যালট বাক্স ছিনতাই, ব্যালট পেপার ছেঁড়া এবং মারামারির ঘটনা নিয়ে অভিষেকের প্রতিক্রিয়া, তিনি ভাল করেই জানেন কোথায় কোথায় গন্ডগোল হতে পারে। তার পরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘যদি কেউ ভাবেন, গায়ের জোরে, ব্যালট বাক্স ভেঙে নিজেদের নাম ঢুকিয়ে প্রার্থী হবেন, তাহলে তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। কারণ, পাহারাদারের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি এই কারণেই তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ শুরু করেছি।’’
মঙ্গলবার সাহেবগঞ্জের সভা শেষে সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে সভা করতে যান অভিষেক। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পরে তিনি মঞ্চে উপস্থিত হন। তাঁর মিনিট কুড়ির ভাষণের শেষাংশে অভিষেক জানান, মঞ্চে ব্যালট বাক্স রেখে যাচ্ছেন। উপস্থিত তৃণমূল নেতা, কর্মী এবং সমর্থকেরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন এবং মতামত জানান। কিন্তু তিনি সভাস্থল ছেড়ে পরের সভাস্থল শীতলখুচির উদ্দেশে রওনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট দেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। একসঙ্গে সবাই ভোট দিতে উঠে যান মঞ্চে। এক পক্ষ ব্যালট বাক্স নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। অন্য পক্ষ ভোট না দিতে পারার আশঙ্কায় ব্যালট কাগজ ছিঁড়তে শুরু করে। শুরু হয় মারামারি এবং ধাক্কাধাক্কি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ঠেলেঠুলে তৃণমূল কর্মী এবং সমর্থকদের মঞ্চ থেকে নীচে নামায়। কিন্তু পুলিশের সামনে হাতাহাতি শুরু হয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে ওই স্থানে আবার ‘নির্বাচন’ হবে। শীতলখুচির সভায় অভিষেক ওই অশান্তির ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সিতাইয়ে আমার সভায় একটি ব্যালট বাক্স রাখা ছিল। সেখানে কিছু মানুষ অত্যুৎসাহী হয়ে ভোট দিতে গিয়ে ব্যালট বাক্সটি প্রায় ভেঙে ফেলেছেন।’’ তৃণমূল নেতার সংযোজন, ‘‘এই কারণেই তো তৃণমূলের ‘জনজোয়ার’ শুরু করেছি। আমি জানি, কোথায় সন্ত্রাস হতে পারে। কোথায় অশান্তি হতে পারে।’’
এই ঘটনায় সিতাইয়ের বিধায়ক, জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দেন অভিষেক। ওই স্থানে বুধবার ভোট করে রিপোর্ট তাঁকে দিতে হবে বলে জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। জানান, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থী বাছাই অভিযানের ভোট হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে অভিষেকের ৬০ দিনের কর্মসূচি সাজিয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে ওই কর্মসূচি শুরু হয়েছে কোচবিহার থেকে। ‘জনসংযোগ যাত্রা’র শুরুতে অভিষেক জানান, তিনি ভাল মানুষের খোঁজে পথে নামছেন। সন্ত্রাসবিহীন ভোট করতে হলে চাই ‘ভাল প্রার্থী’। মানুষকেই নেতা বেছে নেওয়ার ভার দিচ্ছেন তাঁরা। মানুষের মত জানার পরই পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই করবে তৃণমূল। এমন একটি কর্মসূচি সারা ভারতে অভিনব বলে দাবি করেন অভিষেক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy