শিল্প চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি গত সপ্তাহ থেকেই শুরু করেছে লোবার কৃষিজমি রক্ষা কমিটি। আজ বুধবারই সে চিঠি ডাকে দেওয়ার কথা। তার আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কাছেও সেই চিঠির একটি প্রতিলিপি জমা দিল কমিটি। কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাচ্ছি। পাশাপাশি কেষ্টদাও যাতে বিষয়টি দেখেন, তা দেখতে অনুরোধ করলাম।’’ চিঠি পেয়ে আপ্লুত অনুব্রতও। পরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘লোবার মানুষ শিল্প চাইলে অবশ্যই হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।’’
২০১২ সালে কৃষিজমি রক্ষাকমিটির আন্দোলনের পরেই থমকে গিয়েছিল লোবায় খোলামুখ কয়লা খনি গড়ার প্রক্রিয়া। কমিটির দাবি ছিল, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে এবং পুর্নবাসন প্যাকেজ ঘোষণা না করেই দালাল মারফত জমি কিনছিল কয়লা খনি গড়তে আসা সংস্থা। বিচ্ছিন্ন ভাবে জমি কিনেই খোঁড়াখুড়ি শুরু করেছিল সংস্থা। এলাকার কৃষীজীবীদের একাংশ নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে সেই জমি আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেটাই বড় আকার নেয় ২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর। কয়লা খনি গড়তে আসার সংস্থার মাটিকাটার গাড়ি আটকে শুরু হয় আন্দোলন। আটকে রাখা গাড়ি ছাড়াতে ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর লোবায় পুলিশি অভিযানের পর থেকে আন্দোলন প্রকাশ্যে আসে। সে দিনের ঘটনায় পাঁচ গ্রামবাসী আহত হন। কমিটি ও গ্রামবাসীর প্রত্যাঘাতে জখম হন বেশ কিছু পুলিশ কর্মীও। সেই থেকেই কোথাও সরকার বিরোধী ও শিল্প বিরোধী তকমা লেগে গিয়েছে কমিটির গায়ে। তার পরে অনেক জল গড়িয়েছে। ডিভিসি ও বেঙ্গল এমটা যৌথ ভাবে পিপিপি-র ভিত্তিতে ওই খনি গড়ার দায়িত্ব পেয়েছিল। গত বছর তা বাতিল করে শুধু ডিভিসি-কেই লোবার কয়লা তোলার বরাত দেওয়া হয়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে সিঙ্গুর মামলা নিয়ে রাজ্য সরগরম, ঠিক তখনই নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে এবং নিজেদের ভাবমূর্তি বদলাতে ভিন্ন ভাবনা নিল কমিটি।
জয়ী রামপুরহাট। মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগের প্রথম সেমিফাইনালে জুনিয়র ফুটবল কোচিং সেন্টারকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছল রামপুরহাট ফুটবল কোচিং সেন্টার। বুধবার বিনোদপুর আইরন সাইড ক্লাব ও নব অগ্রদূত মাড়গ্রাম দলের মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy