তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরবেন অনুব্রত মণ্ডল এবং কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
যে বাড়ি দিনভর গমগম করত, লোকজনের আনাগোনা লেগেই থাকত, দু’বছর তা খাঁ খাঁ করছে। পুজোর আগে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন মালিক। তাই একেবারে সাজো সাজো রব বীরভূমের নিচুপট্টি এলাকায়। তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট)-এর বাড়িতে শুরু হচ্ছে রং করার কাজ। চলছে ঝাড়পোঁছ, আগাছা সাফাই।
দু’বছর আগে অগস্ট মাসেই গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বোলপুরের নিচুপট্টির বাসিন্দার তার পর ঠিকানা হয় আসানসোল জেল। সেখান থেকে ইডি তৃণমূল নেতাকে হেফাজতে নেয়। তার পর তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। একই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেষ্টর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। পরে তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। বাবার সঙ্গে তাঁরও ঠিকানা হয় তিহাড় জেল। সপ্তাহখানেক আগেই সুকন্যার জামিন মঞ্জুর হয়েছে। কারামুক্তি হয়েছে কেষ্টরও। শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ আদালত তৃণমূল নেতার জামিন মঞ্জুর করেছেন। দিতে হবে ১০ লক্ষ টাকার বন্ড। রয়েছে বেশ কিছু শর্ত। তবে কেষ্ট মুক্তি পাচ্ছেন, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর অনুগামী এবং দলীয় কর্মীদের বড় অংশের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে শুক্রবার থেকে। আউশগ্রামে মিষ্টি বিলি হয়েছে। নানুরে মাংস-ভাতের ‘ফিস্ট’ করেছেন কেষ্ট-অনুগামীরা। শনিবার সকাল হতেই দেখা গেল কেষ্টর বাড়ি ঝাড়পোঁছের কাজ শুরু হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আবার নীল রং করা হচ্ছে অনুব্রতের বাড়িতে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে শনিবারই। মঙ্গল টুডু নামে এক দিনমজুর সকাল থেকে কেষ্টর বাড়ির চারপাশ থেকে আগাছা পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছেন। সকাল থেকে কাজ করার পর ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম নেবেন। টোটো করে বাড়ি যেতে যেতে মঙ্গল বলেন, ‘‘এখন ঘাস কাটছি। জঙ্গল হয়ে ছিল পুরোটা। আজকেই সব পরিষ্কার করে দেব। গাছপালার ডালগুলোও ছাঁটতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy