টিভিতে চোখ। বোলপুরের বাড়িতে অনুব্রত মণ্ডল। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
এই প্রথম দলের শহিদ দিবসে যোগ দিতে পারলেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাড়িতে বসে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন কেষ্টদা। আক্ষেপের সুরে বললেন, ‘‘এই প্রথম এমন ঘটল। আসলে কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছি। রাতেই দিদিকে এসএমএস করে সে কথা জানিয়েছি। দিদি নিজে ফোন করে আমাকে কলকাতায় না গিয়ে বিশ্রাম নিতে বলেছেন। এই শরীরে ওখানে গেলে সভার ভিড়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা করেছেন দিদি।’’ তাই বাড়িতেই টিভির পর্দায় চোখ রেখে দিদির নির্দেশ শুনলেন কেষ্টদা।
গত বিধানসভা ভোটে বীরভূম, বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ মিলিয়ে মোট ১৫টি কেন্দ্রের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সেনাপতি তাতে অনেকটাই সফল। ১৩টি আসনই দখল করেছেন। তাই এ বারের শহিদ দিবসে দলনেত্রীর কাছে কী বার্তা পান কেষ্টদা, তার অপেক্ষায় ছিলেন অনুব্রত অনুগামীরা। কিন্তু দিন চারেক ধরে জ্বরে কাবু অনুব্রত। বুধবার রাতেও চিকিৎসক সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দেখে গিয়েছেন। শেষমেশ দলনেত্রীর থেকে নির্দেশ পেয়ে বাড়িতেই রয়ে গেলেন। তবু অনুব্রত বলছেন, “যেতে পারলাম না বলে খুবই আক্ষেপ হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy