ট্র্যাক্টরের ধাক্কায় স্কুটি থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে প্রাণ গেল এক কলেজছাত্রীর। গুরুতর জখম হলেন তাঁর বান্ধবী। বুধবার দুপুরে বোলপুরের খোয়াইয়ে ওই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সোনাঝুরি, খোয়াই অঞ্চলের রাস্তায় বেপরোয়া ভাবে ট্র্যাক্টর এবং অন্যান্য পণ্য এবং মালবাহী যান চলাচল করছে। অন্য দিকে, কী ভাবে দুর্ঘটনা হল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পথদুর্ঘটনায় মৃত তরুণীর নাম স্নেহা চৌধুরী। মিশন কম্পাউন্ডের বাসিন্দা তিনি। বোলপুর কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী স্নেহা তাঁর এক বান্ধবীকে নিয়ে স্কুটিতে চেপে সোনাঝুরি এবং খোয়াই বেড়াতে এসেছিলেন। খোয়াইয়ের কাছে রাস্তায় একটি ট্র্যাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় স্নেহাদের স্কুটির। ছিটকে রাস্তায় পড়েন দুই বান্ধবী। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দু’জনকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্নেহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকেরা। স্নেহার বান্ধবীর চিকিৎসা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, একটি মাটিবোঝাই ট্র্যাক্টরের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল বছর কুড়ির স্নেহার স্কুটির। স্থানীয়েরা তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করেন। দু’জনের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তড়িঘড়ি তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতা ছাত্রী বোলপুর কলেজে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা চঞ্চল চৌধুরী পেশায় ব্যবসায়ী। বাবা-মাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। কারণ, স্বামী-স্ত্রী তীর্থযাত্রায় গিয়েছেন। কী ভাবে দুর্ঘটনা হল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত স্কুটি এবং ট্র্যাক্টরটিকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়েরা বলছেন, সোনাঝুরি হাটে প্রায় প্রতি দিনই প্রচুর পর্যটকের সমাগম হয়। দেশ বিদেশ থেকে বহু মানুষের আনাগোনা হয়। সেখানে কী ভাবে বালি, পাথর, ইটবোঝাই গাড়ির যাতায়াতে ছাড়পত্র দেয় প্রশাসন? স্থানীয় কয়েক জনের দাবি, প্রায় প্রতিদিন যানজট হয় ওই রাস্তায়। দুর্ঘটনাও হতে থাকে। কিন্তু তার পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy