বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা, লোকসভার সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটেও ‘নোটা’ (‘নান অব দ্য অ্যাবাভ’) আছে স্বমহিমায়। তবে ব্যালট পেপারের নকশা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট, পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে নোটা থাকছে না।
নোটা মানে প্রার্থী-তালিকার কাউকে পছন্দ নয় বলে জানিয়ে দেওয়ার অধিকার। সেই জন্য আলাদা বোতাম থাকে ভোটযন্ত্রে। অন্যান্য রাজ্য পঞ্চায়েত ভোটে নোটা-কে ঠাঁই দিলেও বাংলায় সে ব্রাত্য কেন? রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ব্যাপারে রাজ্য সরকার বা কোনও স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে প্রস্তাব এলে হয়তো ভাবনাচিন্তা করা হত। কিন্তু কারও তরফেই কোনও প্রস্তাব আসেনি।
শুধু ব্যালট পেপারের নকশা নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে অন্যান্য কাজও শুরু করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যদিও ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা করা হয়নি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কমিশন ২৩ মার্চ জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছে। সেখানে কলকাতা-সহ রাজ্যের সব পুলিশ কমিশনারের থাকার কথা। এর মধ্যেই জেলাশাসক এবং জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন আধিকারিকদের কাছে ব্যালট পেপার সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে কমিশন। বৃহস্পতিবার কমিশনের সচিব নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্যের স্বাক্ষরিত সেই নির্দেশিকা দার্জিলিং ছাড়া সব জেলায় পাঠানো হয়েছে। তাতে কমিশন বলেছে, নির্দিষ্ট গুদাম থেকে ব্যালট পেপারের কাগজ সংগ্রহ করতে হবে। ব্যালট পেপারের নকশা কেমন হবে, জানানো হয়েছে তা-ও।
শুক্রবার ভোটকর্মী সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কমিশন। তাতে বলা হয়েছে, প্রতিটি বুথে এক জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং চার জন পোলিং অফিসার থাকবেন। তবে যে-সব বুথে ১২৫০-এর বেশি ভোটার থাকবেন, সেখানে অতিরিক্ত এক জন ভোটকর্মী রাখা হবে।
গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ক্রিম রং, পঞ্চায়েত সমিতিতে গোলাপি এবং জেলা পরিষদের জন্য হলুদ ব্যালট পেপার তৈরি হচ্ছে। সব প্রতীকই ৩.৫x২.৫ সেন্টিমিটারের মধ্যে রাখতে হবে। ব্যালট পেপারের কাগজের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে দরপত্র ডেকেছিল কমিশন।
বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন জেলার কাগজ সংগ্রহের ব্যবস্থা হয়েছে। ব্যালট বাক্স সংক্রান্ত নির্দেশিকাও পাঠিয়েছে কমিশন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy