Advertisement
০৮ নভেম্বর ২০২৪

তিন ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ গাজলে

সরস্বতী পুজো দেখতে স্কুলে গিয়েছিল তিন আদিবাসী ছাত্রী। বাড়ি ফেরার পথে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদহের গাজলের তিন যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হলে ছাত্রীদের প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে অবশ্য এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সন্ধ্যায় ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে থানাতে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ অবশ্য কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

নিজস্ব সংবাদদাদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:১৮
Share: Save:

সরস্বতী পুজো দেখতে স্কুলে গিয়েছিল তিন আদিবাসী ছাত্রী। বাড়ি ফেরার পথে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদহের গাজলের তিন যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হলে ছাত্রীদের প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে অবশ্য এক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। সন্ধ্যায় ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে থানাতে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ অবশ্য কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই তিন ছাত্রীকে ডাক্তারি-পরীক্ষার জন্য গাজল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তেরা পলাতক। খোঁজ চলছে।”

রবিবার বিকেলে স্কুল থেকে পুজো দেখে ফিরছিল গাজলের মাজরা পঞ্চায়েত এলাকার তিন ছাত্রী। তাদের এক জন সপ্তম, এক জন অষ্টম এবং এক জন নবম শ্রেণিতে পড়ে। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে ছাত্রীদের পরিবার জানিয়েছে, গাজলের চন্দনদিঘি গ্রামের তিন যুবক বিশ্বজিৎ মার্ডি, সুমন্ত মুর্মু ও সঞ্জু মুর্মু ওই এলাকার আলমপুরের কাছে একটি ট্যাক্সি নিয়ে এসে তাদের পথ আটকায়। প্রাণে মারার হুমকি গিয়ে তুলে নিয়ে যায় চন্দনদিঘি এলাকায়। সেখানে একটি আমবাগানে এবং পরে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফের ধর্ষণ করা হয় মেয়ে তিনটিকে। সোমবার দুপুরে ওই মেয়েদের গাজলের আলমপুর স্ট্যান্ডে ছেড়ে দিয়ে যায় অভিযুক্তেরা।

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটির বাবা জানান, রবিবার রাতে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় তাঁরা মনে করেছিলেন, অন্য দুই বন্ধুর সঙ্গে সে কোনও আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছে। সোমবার দুপুরের পরে ফিরে মেয়েটি খুব চুপচাপ ছিল। তিনি বলেন, “এ দিন সকালে মেয়ে জানায়, ওর খুব শরীর খারাপ লাগছে। ভেঙে পড়ে। সব কথা খুলে বলে। ওর দুই বন্ধুর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে থানায় অভিযোগ করেছি। আমরা চাই, পুলিশ ওই ছেলেগুলোকে শাস্তি দিক।”

নবম শ্রেণির ছাত্রীটির দাবি, “ধর্ষণের পরে আমাদের প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল ওই ছেলেগুলো। তাই ভয়ে বাড়িতে কিছু বলিনি।”

পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তে তারা জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত তিন যুবকের বয়স বছর ২০-২২। তারা চাষবাস করে। তাদের সঙ্গে এই তিন ছাত্রীর মধ্যে একাধিক জনের পূর্ব পরিচয় ছিল। তবে ছাত্রীদের পরিবারের দাবি, মেয়েদের সঙ্গে অভিযুক্তদের পরিচয় নেই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE