Advertisement
০৭ নভেম্বর ২০২৪
Water Project

পাহাড়ে জল প্রকল্পে ‘গরমিল’, মামলা আমলার

২০১৫-’১৬ সালে রাজ্য সরকার দার্জিলিং পুরসভা এলাকার পানীয় জল সরবরাহের জন্য ২০৪.৮৫ কোটি টাকার ‘অম্রুত’ প্রকল্পে অনুমোদন করে।

পানীয় জল প্রকল্প ‘অম্রুত’।

পানীয় জল প্রকল্প ‘অম্রুত’। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:২০
Share: Save:

দার্জিলিঙের প্রায় ২০০ কোটি টাকার পানীয় জল প্রকল্প ‘অম্রুত’-এর কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য সরকারের এক উচ্চপদস্থ আমলা। আর সেই প্রশ্ন তোলায় তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অন্য পদে পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ।

প্রশাসন সূত্রের খবর, শুধু অভিযোগই নয়, রাজ্য সরকারের মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটের নর্দার্ন সার্কল (প্ল্যানিং)-এর সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার প্রকাশ মৃধা কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে সব কিছু জানিয়ে মামলাও করেন। মামলার শুনানির পরে, গত ৪ নভেম্বর বিচারক অরিন্দম মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি আমলা হিসাবে মামলাটি করলেও তিনি সাধারণ বাসিন্দা হিসাবে আবেদন করলে ভাল হত। তবে যে ত্রুটি বা মান নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলছেন, তা রাজ্য সরকার খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে পারে। আবেদনকারী প্রকাশ মৃধা অবশ্য এ নিয়ে কিছু বলেননি। তাঁর আইনজীবী সন্দীপ মণ্ডল বুধবার বলেন, ‘‘বিচারক আবেদনকারীর মামলা করা নিয়ে মন্তব্য করে তা শেষ করেছেন। তবে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে বলে বলেছেন। সে জায়গা ধরে আমরা হাই কোর্টে তদন্তের দাবি করে শীঘ্রই নতুন করে আবেদন করতে চলেছি।’’ তাঁর দাবি, কাজের গুণমান নিয়ে ওই আধিকারিক প্রশ্ন তোলায় তাঁকে বদলি করা হয়েছে। এতেই পরিষ্কার, এই প্রকল্পে ‘গরমিল’ আছে।

২০১৫-’১৬ সালে রাজ্য সরকার দার্জিলিং পুরসভা এলাকার পানীয় জল সরবরাহের জন্য ২০৪.৮৫ কোটি টাকার ‘অম্রুত’ প্রকল্পে অনুমোদন করে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের অনলাইন টেন্ডার হয়। পাহাড়ে কাজও শুরু হয়। প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম কাজ রয়েছে, ২৩টি স্টিলের জলাধার তৈরি করা। মাটিতে তা বসানোর কথা রয়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার নর্দার্ন সার্কল হিসাবে প্রকাশ মৃধা দায়িত্ব পান। ততদিনে, ১৮টি জলাধারের কাজ শেষ হয়ে যায়।

হাই কোর্টে জানানো হয়, দায়িত্ব নিয়েই ওই আধিকারিক দেখেন, সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকা হিসাবে যে সমীক্ষা, সতর্কতা নেওয়া দরকার তা নেওয়া হয়নি। নকশাও ঠিকঠাক করা হয়নি। শুধু হাওয়া বা বাতাস চলাচল নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে। তিনি তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত নেন। বিশেষজ্ঞদের খরচ বাবদ ৪০ হাজারে মত টাকা তিনি দার্জিলিং পুরসভাকে মিটিয়ে দিতে বলেন।

যদিও মিউনিসিপ্যাল ডিরেক্টরেট বা দার্জিলিং পুরসভার তরফে কেউ এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য জানিয়েছেন, আদালতের পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত কিছু এলে, তা সরকারি স্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

water Project Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE