উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ নিয়ে ঝামেলা কমার লক্ষণ নেই। বুধবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী সমিতি লিখিতভাবে উপাচার্যকে জানিয়ে দিয়েছে, শিক্ষাকর্মীদের হেনস্থায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত রোজ তাঁরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান আন্দোলন করবেন। আন্দোলন শুরু হবে আজ, শুক্রবার থেকে। সূত্রের খবর, পাল্টা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে একদল পড়ুয়াও। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ক্যাম্পাসের ভিতরে ও বাইরে আন্দোলনের ছক তৈরি করতে সভা হয়েছে। রাতে ক্যাম্পাসে বেশ কয়েক জন বহিরাগত ঢুকেছিল বলেই খবর। আগের দিন বিক্ষোভকারী ছাত্রেরা জানিয়েছেন, তাঁরা হঠাৎ আন্দোলন শুরু করতে পারেন।
নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি হচ্ছে বলে খবর পৌঁছেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছেও। তাই পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৃহস্পতিবার ছুটির দিনও বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন রেজিস্ট্রার দিলীপকুমার সরকার-সহ একাধিক আধিকারিক। এ দিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। কথা বলেন নিরাপত্তা আধিকারিকের সঙ্গেও। পরে তিনি বলেন, ‘‘নতুন করে আন্দোলন হতে পারে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থআই নেওয়া হবে।’’
বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিখিল রায়ের হয়ে কিছু দিন আগে ক্যাম্পাসের বাইরের সংগঠন ইউনাইটেড ফোরাম অব সোশ্যাল অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তখন বাইরের সংগঠনের ক্যাম্পাসে ঢোকার বিরোধিতা করে পাল্টা আন্দোলনও হয়েছিল। ফের যদি বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢোকে, তা হলে ছাত্র, শিক্ষক, আধিকারিকদের ঐক্যমঞ্চ তৈরি করে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন।
বহিরাগতদের প্রবেশের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বছরখানেক আগেও উত্তাল হয়েছিল ক্যাম্পাস। রাতে এশিয়ান হাইওয়ে-২ অবরোধ করে আন্দোলন করেন ছাত্র-ছাত্রীরা। কয়েক দিন ধরে আন্দোলন চলেছিল। তখনও ঐক্যমঞ্চ গড়ে প্রতিবাদ হয়েছিল। এ বার পাল্টা আন্দোলনে সে রকম পরিস্থিত হলে, তা সামলানো কঠিন হবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকদের একাংশ। শিক্ষাকর্মী সমিতির সভাপতি শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তির পরিবেশ বজায় থাকুক সেটাই চাই। বহিরাগত কেউ গোলমালের চেষ্টা করলে বা ছাত্র আন্দোলনের নামে গুটিকয়েক পডুয়া অশান্তি করতে চায়, তা হলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ হবে।’’ ইউনাইটেড ফোরামের সভাপতি বজলে রহমান বলেন, ‘‘বুধবারের আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকায় আমরা খানিক মর্মাহত। আমরা আপাতত কোনও আন্দোলনে যাব না।’’ বুধবার যে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, তাঁদের নেতা পবিত্র বায় বলেন, ‘‘আন্দোলনের আগাম কোনও খবর জানাব না। সময় হলেই সবাই সবটা দেখতে পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy