Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Malda Incident

জলে ভাসছে পুত্রের দেহ, টেনে তুললেন বাবা! মালদহের প্যারামেডিক্যালের ছাত্রের মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে রহস্য

কলকাতার একটি বেসরকারি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া ওই যুবক। কলকাতার হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতেন। তবে ছুটিতে বালুভরট গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি।

Paramedical student\\\\\\\'s mysterious death in Maldah

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০০
Share: Save:

রোজ সন্ধ্যা হতেই পুকুর পাহারা দিতে চলে যেতেন। শুক্রবারও গিয়েছিলেন। কিন্তু রাত গড়িয়ে সকাল হওয়ার পর বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়েন বাড়ির লোকেরা। পুকুরের ধারে খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে যুবকের! কী ভাবে জলে পড়ে গেলেন তিনি? না কি কেউ ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে? বছর ২২-এর যুবকের রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে।

মৃত যুবকের নাম মুজাহিদ আলম (২২)। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুজাহিদ প্যারামেডিক্যালের ছাত্র। কলকাতার একটি বেসরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। কলকাতার হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করতেন। তবে ছুটিতে বালুভরট গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন। শনিবার সকালে গ্রামেরই এক পুকুর থেকে ছেলের নিথর দেহ উদ্ধার করেন মুজাহিদের বাবা।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে নন্দীবাটী এলাকার মাঝিপুকুর লিজ়ে নিয়ে মাছ চাষ করেন মুজাহিদের বাবা মহম্মদ হানিফ। শুক্রবার রাত ৭টা নাগাদ মুজাহিদ সেই পুকুর পাহারা দিতে যায়। শনিবার পুত্রের বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে হানিফ পুকুরের ধারে যান। দেখেন, ছেলের দেহ পুকুরে ভাসছে। খবর চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দেহটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরাই।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। যদিও প্রথমে তাঁর বাড়ির লোক এবং গ্রামবাসীরা দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠাতে রাজি ছিলেন না। দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেওয়া হয়। তবে, পরে পুলিশ মৃতের পরিজনদের বুঝিয়ে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার তদন্ত চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Maldah Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE