নিজস্ব চিত্র।
উচ্চমাধ্যমিকে স্কুলের প্রায় ৫০ শতাংশ পড়ুয়াই ফেল করেছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্যই তাঁদের ফেল করতে হল পরীক্ষায়, এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া গার্লস হাই স্কুলের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীরা। চোপড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় ৩১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। পরে অবশ্য পুলিশ এসে পথ অবরোধ তুলে দেয়।
এ বছর ওই স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন ২২০ জন। এঁদের মধ্যে ১০১ জনই ফেল করেছেন। পাশ করানোর বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের আশ্বস্ত করতে পারেনি বলেই ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা।
যদিও মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট তৈরির বিষয়টি তাদের হাতে ছিল না বলেই জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। চোপড়া গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মল্লিকা সাহা বলেন, ‘‘শুনেছি ওঁরা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। আমাদেরও খারাপ লাগছে। একাদশের কয়েকটি পরীক্ষার নম্বর, প্রজেক্টের নম্বর আর মাধ্যমিকের ফলের উপর ভিত্তি করে উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিকের নম্বর যেমন স্কুলের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, উচ্চমাধ্যমিকের নম্বরও স্কুলের উপর ছেড়ে দিলে ভাল হত। মাধ্যমিকে সবাই পাশ, আর উচ্চমাধ্যমিকে ৯৭ শতাংশ পাশ! এতে স্কুলের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। যদি পরীক্ষা হত আর তাতে পরীক্ষার্থীরা ফেল করলে আমার কিছু বলার থাকত না। তবে সরকার ঘোষণা করেছিল, যাঁরা নম্বর নিয়ে খুশি নয়, তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবে। সেই দিকেই তাকিয়ে আছি আমরা।’’
ওই স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বর্ণালী মজুমদার এবং ইয়াসমিনা পারভিনদের বক্তব্য, ‘‘অতিমারি পরিস্থিতি কোনও পরীক্ষাই হল না। এই স্কুলে কেউ পাশ করেছে, কেউ ফেল করেছে। আমাদের বক্তব্য, হয় সবাইকে পাশ করাও, নয়তো সবাইকেই ফেল করাও। যদি শুরুতেই পরীক্ষা হত, আমরা পরীক্ষা দিতাম। কিন্তু এখন আমরা পরীক্ষা দেব না। আমাদের পাশ করাতে হবে।’’
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর কম আসায় বিক্ষোভ দেখালেন আরামবাগ গার্লস হাই স্কুলের পড়ুয়া এবং অভিভাবকেরা। তাঁদের বক্তব্য, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ যে পদ্ধতিতে মূল্যায়নের কথা বলেছিল, সেই পদ্ধতি অনুযায়ী পড়ুয়াদের আরও বেশি নম্বর পাওয়ার কথা। অথচ, প্রাপ্ত নম্বরে দেখা গিয়েছে অনেকেরই ২০-২৫ নম্বর কম এসেছে। এর ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বেন পরীক্ষার্থীরা। ভালো কলেজে ভর্তি হতে সমস্যা হবে। পছন্দের বিষয়ে অনার্স পেতেও সমস্যা হবে।
সোমা দত্ত নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘‘আমার মেয়ের আরও ২১ নম্বর বেশি পাওয়ার কথা। আমরা নম্বর কম বা বেশি চাইছি না। যেটা সঠিক সেটা যেন দেওয়া হয়।’’ আরামবাগ স্কুলের ছাত্রী ইপ্সিতা হাজরা বলেন, ‘‘মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট ও একাদশের রেজাল্টের নম্বর দেখে মূল্যায়ন করার কথা ছিল। আমরাও সেই ভাবে নিজেদের মতো করে নম্বর কষেছি। অথচ, উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্টে সেই নম্বর নেই। অনেকেরই চার থেকে পাঁচ শতাংশ নম্বর কম এসেছে।’’
পড়ুয়াদের বক্তব্য, সঠিক নম্বর দেওয়া হলে তবেই তাঁরা মার্কশিট তুলবেন। কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই যেন তাঁদের নম্বর সংশোধন করা হয়, দাবি তোলেন তাঁরা। অন্যদিকে, নম্বর কম আসার ক্ষেত্রে স্কুলের কোনও হাত নেই বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy