প্রস্তুতি: মুখ্যমন্ত্রীর সভা হবে স্টেডিয়ামে। নিজস্ব চিত্র
পুলিশের ম্যারাথন সকালে। দুপুর থেকেই তৃণমূল ছাত্র যুব সমাবেশের যোগ দিতে উত্তরবঙ্গের সাত জেলার হাজারৃহাজার সমর্তকদের আসার কথা শিলিগুড়িতে। ফলে, আগামীকাল, সোমবার যানজটের আশঙ্কায় শিলিগুড়ির একাধিক স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল সোমবারের ক্লাস আগামী শনিবারে হবে বলে ঘোষণা করেছে। বেশ কিছু স্কুল খোলা থাকার কথা ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। তাতেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্কুল বাস মালিকরা। ইতিমধ্যেই মালিকপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, ওই দিন স্কুল ছুটি দিয়ে অন্যদিন ক্লাস হলেই পড়ুয়াদের হয়রানি কমবে। কারণ, শহরে অন্তত ৭০০ বাস, ৩০-৪০ হাজার লোক জড়ো হলে চলাফেরাই দায় হয়ে যাবে। তাই সভার দিন শহরে স্কুলবাসের যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ খুঁজছে পুলিশ-প্রশাসন। কিন্তু, রাত অবদি বিকল্প রাস্তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ঘোষমা করতে পারেনি পুলিশ।
রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের সব জেলা থেকে দলের কর্মী-সমর্থকরা শিলিগুড়ি আসবেন। শহরে যানজটের আশঙ্কাও রয়েছে। দুপুর একটা থেকে সভা শুরু হওয়ার কথা। তার কিছু পর থেকেই শহর এবং লাগোয়া স্কুলগুলির ছুটি হয়। স্কুলবাসগুলির জন্য সে কারণেই বিকল্প পথ খুঁজতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। গৌতমবাবু এ দিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেও সাধারণ বাসিন্দাদের এতটুকু সমস্যা হোক তা চান না। পুলিশকে বলা হয়েছে সভার দিন স্কুলবাসগুলির যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা চিহ্নিত করে দিতে।’’
কর্মী-সমর্থকরা যে বাস নিয়ে সভায় আসবেন সেগুলিকে শিলিগুড়িতে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে আগেই জানিয়েছে পুলিশ। শহর লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় ৮টি পার্কিং জোন করা হয়েছে। সেখানেই কর্মী-সমর্থকদের বাস-গাড়ি রাখা হবে। আজ রবিবার শহরের বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠনগুলিকে নিয়ে ফের বৈঠকে বসছে পুলিশ। শিলিগুড়ির স্কুল বাস মালিকদের সংগঠনের সম্পাদক শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বেশ কয়েকবার পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকালও আলোচনা হবে। বিকল্প রাস্তা চিহ্নিত করার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। দেখা যাক কী হয়।!’’
শনিবার সকালে গৌতমবাবু কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সভার প্রস্তুতি দেখতে গিয়েছিলেন। স্টেডিয়ামের মাঠে মঞ্চ বাঁধার কাজ চলছে। অন্তত ৭০ হাজার কর্মী-সমর্থক আগামী সোমবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী ছাত্র যুব সভায় উপস্থিত থাকবেন বলে দাবি গৌতমবাবুর। মাঠ এবং স্টেডিয়ামে আধা-আধি করে কর্মী সমর্থকদের বসার জায়গা হবে। বেশি লোক যাতে বসতে পারেন সে কারণে মাঠে চেয়ারের সংখ্যা অল্প রাখা হচ্ছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের চিন্তা হয়েছে রয়েছে কর্মী-সমর্থকদের খাওয়ানো নিয়ে। ডিম-ভাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে সভায় আসা কর্মীদের জন্য। এত খাবারের প্যাকেট বিলি করতে যেন বিশৃঙ্খলা না হয় তা নিয়েই চিন্তিত জেলা নেতারা। এ দিন মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতমবাবুও খাবারের জায়গা দেখতে যান। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কর্মীদের খাবার বিলি করতে পৃথক কাউন্টার তৈরি হচ্ছে স্টেডিয়ামের মেলার মাঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy