উড়ালপুলেও হচ্ছে পার্কিং। শিলিগুড়ির হাসমিচক উড়ালপুলে নিউ সিনেমা রোডের দিকে নামার সময় দেখা যাচ্ছে এই দৃশ্য। পার্কিং-এর ফলে হওয়া যানজটে হচ্ছে ভোগান্তিও। গোটা ঘটনায় পুলিশের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন বাসিন্দারা। — বিশ্বরূপ বসাক
শিলিগুড়ি শহরে বাইক চুরি বাড়তে থাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। গত তিন মাসে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে ৬১টি বাইক চুরি হয়েছে বলে কমিশনারেট সূত্রের খবর। গত সপ্তাহে শিলিগুড়ি এবং প্রধাননগর এলাকায় আরও দু’টি বাইক চুরি হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চুরির তদন্ত নেমে এখনও পর্যন্ত ১০টি বাইক উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে শিলিগুড়ি থানা এলাকায় তিনজনকে ৬টি বাইক-সহ এবং প্রধাননগর থানা এলাকায় তিনজনকে ৪টি চোরাই বাইক-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের নজরদারির অভাবেই চুরি বেড়ে চলেছে বলে বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সন্দেহ।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেবক রোড, দুইমাইল, হিলকার্ট রোড, বিধাননগর-সহ একাধিক জায়গার পার্কিং লট, অফিসের নিচ থেকে দিনের বেলায় চুরির ঘটনা ঘটছে। দুষ্কৃতীরা মাস্টার-কি দিয়ে তালা খুলে হ্যান্ডেলে মোচড় দিয়ে ২-৩ মিনিটে বাইকগুলি নিয়ে চম্পট দিচ্ছে। শহরের বাইরে বের হওয়ার রাস্তায় নিয়মিত চেকপোস্টের আদলে নজরদারি, তল্লাশি না থাকার সুযোগ নিচ্ছে তারা। পুলিশ তদন্তে জেনেছে, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দলগুলি ঘটনার পিছনে রয়েছে। যদিও দলের মাথাদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। এখনও উদ্ধারও হয়নি ৫০টির উপর বাইক।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, গত অক্টোবর মাসে শহরের মধ্যে শিলিগুড়ি এবং ভক্তিনগর থানা এলাকাতে ২৭টি বাইক চুরি হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা কয়েক দফায় থানার আইসি, ওসি সতর্ক করেছেন। পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘বাইক চুরি কিছুটা বাড়লেও কিছুদিন ধরে তা কমেছে। বাইক উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’’
পুলিশ জানাচ্ছে, কোচবিহার এবং চোপড়ার দলগুলি স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীদের সাহায্য নিয়ে চুরি করছে। সম্প্রতি হায়দারপাড়ার যুবক, এই চক্রের পান্ডা ‘ম্যানেজার’কে গ্রেফতারের পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে। এর আগে নেপালে বাইক পাচার হলেও বর্তমানে এসএসবি-র নজরদারি বেশি থাকায় চুরির পর বাইকগুলি অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আগে বাইকের ইঞ্জিন খুলে ভুটভুটির জন্য বিক্রি করা হলেও এখন গোটা বাইকই ২০-২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত তিন মাসে ছোট গাড়ি, পিকআপ ভ্যান মিলিয়ে ৯টি গাড়ি চুরির ঘটনাও ঘটেছে। বেশির ভাগই অসমে পাচার হয়েছে বলে সন্দেহ। একটি গাড়ি বিহার হয়ে বাংলাদেশের দিকে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তিন মাসে চুরি
ভক্তিনগর- ১৫ টি ও ৫টি।
শিলিগুড়ি- ২৯টি
প্রধাননগর- ৬টি ও ১টি
মাটিগাড়া- ৫টি ও ১টি।
বাগডোগরা- ১টি।
এনজেপি- ৫টি ও ২টি।
(থানাওয়াড়ি পরিসংখ্যান, বাইক ও গাড়ি)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy