এই ক্যামেরাতেই রেকর্ড হবে রাস্তার দৃশ্য। — নিজস্ব চিত্র
জাতীয় সড়কে নজরদারি করতে পুলিশকর্মীদের গায়েই থাকছে ক্যামেরা। আলিপুরদুয়ারের এথেলবাড়ি থেকে অসমের সীমানা পর্যন্ত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে পুলিশ কর্মীদের গায়ে জ্যাকেটে বডি ক্যামেরা ও টহলদারি ভ্যানে একাধিক ক্যামেরা লাগিয়ে চলছে রাতদিন নজরদারি। জেলা পুলিশ কর্তাদের বক্তব্য, এতে একদিকে যেমন এলাকার ঘটনাগুলি রেকর্ড হয়ে থাকবে, তেমনই টহলদারির সময়ে পুলিশকর্মীদের গতিবিধি নজরে থাকবে বড়কর্তাদের।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের দিকে জাতীয় সড়ক হয়ে ওঠে অপরাধীদের গতিবিধির অন্যতম জায়গা। গরু পাচার থেকে কয়লা পাচার অবাধেই চলে বলে অভিযোগ। পাচারকারীরা এতটাই বেপরোয়া, যে টহলদার পুলিশকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। বছরখানেক আগেই পুঁটিমারি এলাকায় গরু পাচারকারী গুলি চালিয়েছিল পুলিশকর্মীদের উপর। এ বার টহলদারি গাড়ি ও পুলিশকর্মীদের গায়ে ক্যামেরা লাগানো থাকায় অপরাধীদের ছবি থেকে পুরো ঘটনা রেকর্ড হয়ে থাকবে। পরে তাদের খুঁজে ধরতে সুবিধে হবে।
আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এথেলবাড়ি থেকে হাসিমারা ও নিমতি থেকে বারবিশার অসম সীমানা পর্যন্ত দুটি টহলদারি ভ্যান লাগানো হয়েছে দুটি করে মনিটর-সহ আধুনিক ক্যামেরা। ভ্যানের সামনে একটি ছোট মনিটর-সহ একটি ফিক্সড ও একটি মুভেবেল ক্যামেরা রয়েছে। পেছনের দিকে একটি ফিক্সড ক্যামেরা রয়েছে মনিটর সহ। টহলদারি ভ্যানে থাকা পুলিশ আধিকারিকের জ্যাকেটেও লাগানো থাকছে বডি ক্যামেরা। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘আপাতত দুটি টহলদারি ভ্যানে নাইটভিশন যু্ক্ত ক্যামেরা লাগানো হয়েছে একটি সমানের দিকে একটি পেছনের দিকে। যা সর্বক্ষণ রেকর্ডিং মোডে থাকে। পরে রেকর্ডিংগুলি ডাউনলোড করা হয়।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে এই প্রযুক্তি জাতীয় সড়কে টহলদারির জন্য ব্যবহার হচ্ছে। আগামী দিনে আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা ও জয়গাঁ শহরে ১০টি বডি ক্যামেরা লাগানো জ্যাকেট টহলরত পুলিশ আধিকারিকদের দেওয়া হবে। তার ফলে জাতীয় সড়কে টহলদারি ভ্যান কোথায় যাচ্ছে পুলিশ কর্মীরা কার সঙ্গে কীরকম ব্যবহার করছেন তা আধিকারিকরা অফিসে বসেই কম্পিউটার মনিটরে দেখতে পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy