ধর্মঘটের সমর্থনে রেল অবরোধ। নিজস্ব চিত্র।
ধর্মঘটের ভাল সাড়া মিলল জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার দুই জেলায়। দুই জেলার অধিকাংশ জায়গায় দোকান বাজার এবং চা বাগান বন্ধই ছিল। সরকারি বেসরকারি অফিস ছিল বন্ধ। রাস্তাতেও বিশেষ চোখে পড়েনি মানুষের আনাগোনা।
জলপাইগুড়ি জেলা জুড়েই সরকারি বেসরকারি সমস্ত অফিস বন্ধ ছিল। ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, বানারহাট, নাগরাকাটা সব জায়গাতেই বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। জেলার চা বাগানতে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি। ফলে চা বাগান এলাকায় ধর্মঘট সর্বাত্মক ছিল। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে রাস্তায় বেরতে দেখা যায়নি। বানারহাটে রেল অবরোধ করেন বন্ধ সমর্থকরা।
সরকারি বাস পথে নামলেও বেসরকারি বাস নামেনি। সরকারি বাস চালকদের হেলমেট পরে বাস চালাতে দেখা গিয়েছে। যদিও সব বাসেই যাত্রীর সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। আবার সরকারি বাসগুলিকে পথে বেরিয়ে বন্ধে সমর্থকদের অবরোধের মুখে পড়তে হয় জায়গায় জায়গায়।
সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটুর জেলা সম্পাদক জিয়াউল আলম বলেন, “জলপাইগুড়িতে বন্ধ সর্বাত্মক সফল। চা বাগান এলাকায় এই প্রথম এমন সর্বাত্মক বন্ধ হয়েছে। হাজার হাজার মহিলা চা শ্রমিক রাস্তায় নেমে জাতীয় সড়ক রেললাইন অবরোধ করেন।” তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিংহের দাবি, বন্ধ পুরোপুরি ব্যর্থ। জেলায় কোনও প্রভাব পড়েনি।” বিজেপি জেলা সম্পাদক আগুন রায় বলেন, “বন্ধকে সমর্থন করেনি সাধারণ মানুষ। জোর করে বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছে।”
আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়েও ছবিটা একই রকম। বেসরকারি পরিবহণ বাজার প্রায় বন্ধই ছিল। রাস্তায় বিশেষ দেখা যায়নি সাধারণ মানুষকে। জেলা জুড়ে ধর্মঘটের সমর্থনে বাম এবং কংগ্রেসের তরফে মিছিল হয়। জেলার বিভিন্ন রাস্তা রেল লাইন অবরোধ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy