খেলা: মহিলাদের সঙ্গে ছক্কা-পুটের চালে মেতেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
এত দিন কোথায় ছিলেন? উত্তরে জানা গেল, মন্ত্রীকে দেশে-বিদেশে নানা কাজে ঘুরে বেড়াতে হয়, শুধু রায়গঞ্জে বা কালিয়াগঞ্জে পড়ে থাকলে তো চলে না। তবে শেষ লগ্নে কালিয়াগঞ্জে এসে লুডো খেলে, সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরই সংসদ এলাকার কালিয়াগঞ্জে বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচার সারলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী।
দলীয় প্রার্থীর প্রচারের সূচনা করে এ দিনই তিনি দিল্লি ফিরে যান। শুক্রবার রায়গঞ্জ শহরের মহাত্মা গাঁধী রোডে হোটেলের সভাকক্ষে ওই সাংবাদিক সম্মেলনেই তৃণমূলকে রুখতে কংগ্রেস ও সিপিএমের কাছে ভোট চাইলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কালিয়াগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় এসে দাবি করেন, বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম একজোট হয়ে তৃণমূলকে হারানোর চেষ্টা করছে। পাশাপাশি, সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পরে গত ছ’মাসে দেবশ্রী রায়গঞ্জে উন্নয়ন করেননি বলেও শুভেন্দু অভিযোগ তোলেন। এ দিন তার উত্তরে দেবশ্রী বলেন, ‘‘গত ছ’মাসে আমার সাংসদ কোটার ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দে কালিয়াগঞ্জে রাস্তাঘাট, শ্মশান, ভবন, পানীয় জলের পরিকাঠামো তৈরি সহ ৩৩টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ হয়েছে।’’ দেবশ্রীর কথায়, ‘‘গত আট বছরে রাজ্য সরকার কালিয়াগঞ্জে কী উন্নয়ন করেছে, শুভেন্দুবাবুরা আগে সেই প্রশ্নের উত্তর দিন। বাসিন্দাদের পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে অনুরোধ করছি। উন্নয়ন কাকে বলে দেখিয়ে দেব।’’
রাহুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে এ দিন, উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের দাবি, বিজেপির এনআরসি নীতি, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দারা ধীতশ্রীকে জয়ী করানোর শপথ নিয়েছেন। রাহুলরা সেটা বুঝতে পেরে কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
কালিয়াগঞ্জের তৃণমূলের নির্বাচনী পর্যবেক্ষক তথা শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানির বক্তব্য, ‘‘আমরা আগেই বলেছি তৃণমূলকে হারাতে বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম গোপন আঁতাঁত করেছে। এ দিন রাহুলবাবু কংগ্রেস ও সিপিএমের কাছে প্রকাশ্যে ভোট চেয়ে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।’’
এ দিনও রাহুলের গলায় এনআরসি নিয়ে ভীতি দূর করতে তৎপরতার সুর শোনা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এনআরসি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। উদ্বাস্তু, শরণার্থী, রাজবংশী কোনও সম্প্রদায়ের মানুষকেই দেশ থেকে তাড়ানো হবে না। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে তাড়ানোর জন্যই এ রাজ্যে এনআরসি কার্যকরী করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy