ধনকুবেরের পুত্র অনন্ত অম্বানী ৩০ কোটির ঘড়ি পরেন। সেই ঘড়ি ধনকুবের পিতা মুকেশ অম্বানীর সংগ্রহের সবচেয়ে দামি গাড়িটির থেকেও মহার্ঘ্য। দ্বিগুণেরও বেশি দাম! তা হলে ধনকুবেরের পত্নী নীতা অম্বানীর ঘড়ির দাম কত হওয়া উচিত?

ছবি: সংগৃহীত।
প্রশ্নটা পাটিগণিতের অঙ্কের মতো দেখালেও, যুক্তি দিয়ে বিচার করলে একখানি উত্তর আন্দাজ করা যেতেই পারে। যুক্তি বিচার করে এ-ও বলা যেতে পারে নীতার মতো ব্যক্তিত্ব, যিনি ধনকুবের স্বামীর সামাজিক সম্পর্কের অনেকটাই নিজে দেখেন। ব্যবসার বিভিন্ন দিক সামলান, যাঁকে মুকেশ জন্মদিনে প্রাইভেট জেট উপহার দেন, তাঁর ঘড়ির দাম অনন্তের থেকে বেশি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
দিন কয়েক আগে অনন্ত তাঁর বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্র বনতারার উদ্বোধনে পরেছিলেন সুইৎজ়ারল্যান্ডের ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা রিচার্ড মিলের ঘড়ি। সেই ঘড়ির দাম ছিল ৩০ কোটি টাকা। হোয়াইট গোল্ডে বাঁধানো ঘড়ির বিশেষত্ব ছিল তার ডায়ালে। সাদা-কালো হিরে দিয়ে তৈরি পান্ডার জিভ চুনি দিয়ে তৈরি। হাতে সোনার বাঁশ পাতা। আর দিন দুই আগে নীতা যে ঘড়িটি পরে মুম্বইয়ের জিও কনভেনশন সেন্টারে একটি অপেরার অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন সেটিওসোনার। আর পুরো ঘড়িতেই ছোট বড় হিরে গেঁথে দেওয়া। ডায়ালের নকশাতেও রয়েছে বিশেষত্ব।

ছবি: সংগৃহীত।
নীতার ঘড়িটিও সুইৎজ়ারল্যান্ডের সংস্থা পাটেক ফিলিপের। মডেলের নাম নওটিলিয়াস। নওটিলিয়াস একটি সামুদ্রিক প্রাণীর নাম। সমুদ্রের কথা মনে পড়বে নীতার ঘড়ি দেখলেও ডায়ালে তরঙ্গের ঢেউ খেলানো আদলে সাজানো হিরে। ব্যান্ডের নকশাতেও তেমন কারুকাজ।

ছবি: সংগৃহীত।
নীতার ওই ঘড়িটির দাম যদিও অনন্তের ঘড়ির সঙ্গে তুলনাতেই আসবে না। নীতার ঘড়ির দাম ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৪৫০ মার্কিন ডলার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৪ কোটি টাকার কিছু কম। বিস্তারে বললে ৩ কোটি ৭২ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ হিসাবমতো অনন্তের ঘড়ির দামের প্রায় ৮ ভাগের এক ভাগ।