লোকসভা ভোটের আগে সিকিমের সঙ্গে দার্জিলিঙের নেপালিদেরও আত্মপরিচয়ের ভাবাবেগ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রাক্তন ফুটবলার ভাইচুং ভুটিয়া।
শনিবার তাঁর রাজনৈতিক দল হামরো সিকিম পার্টির তরফে শনিবার শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন ভাইচুং। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘নব্বইয়ের দশকে শীর্ষ আদালত একটি রায়ে সিকিমের নেপালিদের ‘শরণার্থী’ বলে রায় দিয়েছিল। আমরা সেটি নতুন করে বিবেচনা করে ওই শব্দটির বদলে নতুন কোনও শব্দ ব্যবহারের আর্জি জানিয়েছি।’’ তাঁদের দাবি, বৃহস্পতিবারই নতুন আবেদন করা হয়েছে শীর্ষ আদালতে।
সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এসডিএফ) এক শীর্ষ নেতা জানান, তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের আমলে নেপালিরা যে মর্যাদার সঙ্গে রয়েছে তা ভাইচুংরা বুঝতে পারছেন না। যদি গত ৫ বছরের বিধানসভা ভোটে সিকিমের নেপালি অধ্যুষিত এলাকার ভোটের শতাংশের দিকে তাকান তা হলে সেটা ভাইচুং বুঝতে পারবেন বলে এসডিএফের দাবি। তিনি জানান, গড়ে ৬০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তাঁরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে ভাইচুংয়ের দলের শীর্ষ নেতা বিরাজ অধিকারীও ছিলেন। তাঁদের দাবি, সিকিমে জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ নেপালি, বাকিটা ভুটিয়া এবং লেপচা। বাকিদের ক্ষেত্রে এরকম আত্মপরিচয় নিয়ে সমস্যা নেই। এদিন দলের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ‘শরণার্থী’ শব্দটিকে নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাইচুংয়ের মতে, সিকিমের অনেক নেপালিই মনে করছেন, তাঁরা হয়তো দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। তবে এর জন্য সরকারি পরিষেবা পেতে কোনও সমস্যা হয়নি বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। এ প্রসঙ্গেই বাইচুং দার্জিলিঙের নেপালিদের সমস্যাও তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, গোর্খাদেরও ভাষাগত কারণে নেপালি বলে আখ্যা দেওয়া হয়। এই সমস্যা বিশ্বের সব জায়গায় বসবাসকারী নেপালিদেরই রয়েছে। তাই তাদেরও উচিত সিকিমের নেপালিদের এই সমস্যার পাশে দাঁড়ানো। তবে এখনই দার্জিলিংয়ে কোনও প্রার্থী দিতে চান না বলেই জানিয়েছেন ভাইচুং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy