চলছে প্রচার। নিজস্ব চিত্র।
বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে কোচবিহারের ২০০টি স্কুলে ‘ভিস্যুয়াল সার্ভে’র প্রস্তুতি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দিবস উপলক্ষে কোচবিহার শহরে একটি ট্যাবলোয় প্রচারাভিযান চালানো হয়। ভূমিকম্প, বন্যা, ঝড়ের সময়ে বিপর্যয় রুখতে প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে।
জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী নভেম্বরে মাস জুড়ে স্কুলগুলিতে ওই সমীক্ষার কাজ চলবে। জেলা প্রশাসনের তিন বাস্তুকারের নেতৃত্বে বিশেষ সমীক্ষক দল তৈরি করা হয়েছে। আগামী বছর মার্চের মধ্যে জেলার বাকি স্কুলগুলির পরিকাঠামো থেকে আববাবপত্র যাবতীয় বিষয় ঠিক রয়েছে কি না, সরেজমিনে ঘুরে দেখে তা নিয়েও একই ভাবে রিপোর্ট জমা দেবে দলটি। বিপর্যয় মোকাবিলায় কী ব্যবস্থা নিতে হবে, ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই তা প্রশাসনের তরফে স্কুলগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কোচবিহার জেলা ভূমিকম্পপ্রবণ বলে চিহ্নিত এলাকাগুলির মধ্যে পড়ছে। প্রতি বছর জেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতিও প্রায় প্রতি বছরই হয়। সে সব কথা মাথায় রেখে ‘ন্যাশনাল স্কুল সেফটি প্রোগ্রামের’ মাধ্যমে জেলায় বিপর্যয় মোকাবিলা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জেলায় উচ্চ প্রাথমিক এবং হাইস্কুলের সংখ্যা ৪১০টি। তার মধ্যে দোতলা কিংবা তিনতলা ভবন রয়েছে ২০০টির বেশি স্কুলে। ওই সব স্কুল ভবনের বড় অংশেই বিপর্যয় মোকাবিলার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই বলে অভিযোগ। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কয়েকজন আধিকারিক জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্কুলে সিঁড়ির আয়তন তুলনামূলকভাবে কম। তার উপর বেশিরভাগ স্কুলেই ওঠানামার জন্য একটি সিঁড়ি। ফলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে নামতে গিয়ে পড়ুয়াদের জখম হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ওই বিষয়ে স্কুলের পরিকাঠামো সরেজমিনে খতিয়ে দেখে নিরাপত্তার রূপরেখা তৈরির ভাবনা থেকেই ভিস্যুয়াল সার্ভের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দফতরের এক আধিকারিক মিলন চক্রবর্তী বলেন, “দ্বিতল কিংবা তার বেশি উঁচু ২০০টি স্কুলকে আমরা প্রাথমিক সমীক্ষার আওতায় রাখছি।”
বিভিন্ন দুর্যোগজনিত পরিস্থিতিতে কী ভাবে সাবধানতা নেওয়া দরকার, তা নিয়ে জেলার সব স্কুলের পড়ুয়াদের সচেতন করতে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার চার শতাধিক স্কুলশিক্ষককে দুর্যোগ মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “বিপর্যয় এড়াতে সব স্কুলের সামগ্রিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে ওই সমীক্ষা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy