পাঁচ বছর আগের ঝাড়খণ্ড রাজ্যসভা নির্বাচনে বিধায়ক কেনাবেচা কেলেঙ্কারির তদন্তে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। ২০১০-এ রাজ্যসভার এই নির্বাচনেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার টিকিটে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন কে ডি সিংহ। যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দেন। নির্বাচনের সময়ে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ ওঠায় কে ডি-র দিকেই ছিল সন্দেহের তির। আজ তিনটি পৃথক চার্জশিটে পাঁচ প্রাক্তন বিধায়কের নামে চার্জশিট পেশ করা হলেও, কে ডি সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়নি। যা দেখে কেডি-র তরফেও বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই মামলায় সিবিআই তাঁকে ক্লিনচিট দিয়েছে।
২০১০-এর রাজ্যসভা নির্বাচনে জেএমএম কে ডি সিংহকে প্রার্থী করেছিল। কংগ্রেস এবং বিজেপি যথাক্রমে ধীরাজপ্রসাদ সাহু ও অজয় মারুকে প্রার্থী করে। নির্বাচনে কে ডি এবং সাহু জেতেন। কিন্তু একটি টেলিভিশন চ্যানেলের গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করা কথাবার্তায় দেখা যায়, ছ’জন বিধায়ক টাকার বিনিময়ে বিশেষ এক জন প্রার্থীকে ভোট দিতে রাজি হচ্ছেন। দলের অন্য বিধায়কদের রাজি করাতেও সম্মতি দিচ্ছেন। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তদন্ত চলাকালীন কে ডি সিংহের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দুই ব্যবসায়ী ও তাঁর প্রাক্তন ব্যক্তিগত সচিবের বাড়িতে তল্লাশি হয়েছিল। চার্জশিটে অবশ্য কে ডি-র বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তোলেনি সিবিআই। আজ রাঁচির বিশেষ আদালতে সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে কংগ্রেসের রাজেশ রঞ্জন, যোগেন্দ্র সাউ এবং সাওন লকড়া, জেএমএম-এর সাইমন মরাণ্ডি ও বিজেপির উমাশঙ্কর আকেলার নাম রয়েছে। অন্য যে জেএমএম বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সেই টেকলাল মাহাতোর আগেই মৃত্যু হয়েছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, এই পাঁচ জন এক থেকে দু’কোটি টাকার বিনিময়ে ভোট দিতে রাজি হয়েছিলেন।
কে ডি-র নাম সিবিআই চার্জশিটে না থাকায় বিজেপি-তৃণমূল ‘সখ্যের’ অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। দলের নেতা নীলোৎপল বসুর কটাক্ষ, ‘‘কে ডি কি তবে তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাঁতের অঙ্গ?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy