ভরতপুরের পালিতপাড়ায় এক কালভার্টের নীচে শুক্রবার এক তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। কনকপাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম তামাল বাগদি (৪৫)। বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। সেই মর্মে এ দিন ছয় কংগ্রেস সমর্থকের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। যদিও কংগ্রেস অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি নিয়মিত মদ্যপান করতেন। বৃহস্পতিবার রাতেও মদ খেয়ে আলুর জমি দেখতে বাড়ি থেকে বের হন। তারপর আর ফেরেননি। পর দিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন পালিতপাড়ার কাছে কালভার্টের নীচে ওই ব্যক্তির দেহ পড়ে রয়েছে। দেহে কোথাও কোনও গুরুতর আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে সেটা কালভার্টের উপর থেকে পড়ে গিয়ে হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও মৃতের স্ত্রী স্বপ্নাদেবী বলেন, “আমার স্বামী তৃণমূল করায় কংগ্রেসের লোকজন বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়ে ছিল। তাঁরাই আমার স্বামীকে খুন করেছে। পুলিশকে সব জানিয়েছি।”
তৃণমূলের ভরতপুর-১নং ব্লকের সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, “কংগ্রেস পরিকল্পিতভাবে তামালকে শ্বাসরোধ করে খুন করে কালভার্টের নীচে ফেলে দিয়েছে।” কান্দি মহকুমা কংগ্রসের সভাপতি দেবাশিষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কংগ্রেস খুন সন্ত্রাসের রাজনীতি করে না। মিথ্যাভাবে কংগ্রেসের উপর দোষ চাপান হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “ যে কোন মৃত্যুই দুঃখের। তবে তামালবাবু মদ্যপ অবস্থায় কালভার্ট থেকে নীচে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছেন। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সব জানা যাবে।” ওই ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এলাকার মদ ব্যাবসায়ী হরিপদ মণ্ডল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুখেন্দু হিরা বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ওই ব্যাক্তি কালভার্ট থেকে পড়ে গিয়ে, না কেউ তাঁকে খুন করেছে তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই জানা যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy