Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

জল না পেয়ে শুখা শান্তিপুর

ঝড়ের দাপটে ভেঙে গিয়েছে একের পর এক বিদ্যুৎবাহী টাওয়ার। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ২৩ এপ্রিল থেকে টানা জল কষ্টে ভুগছেন শান্তিপুর শহরের মানুষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০২:২৯
Share: Save:

ঝড়ের দাপটে ভেঙে গিয়েছে একের পর এক বিদ্যুৎবাহী টাওয়ার। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ২৩ এপ্রিল থেকে টানা জল কষ্টে ভুগছেন শান্তিপুর শহরের মানুষ।

পুরসভার দাবি, জলপ্রকল্প চালু করতে গেলে যে পরিমান ভোল্টেজ প্রয়োজন, তা সরবরাহ করতে পারছে না বিদ্যুৎ দফতর।

ফলে ওই দিন থেকে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে জলপ্রকল্প। পুরসভা চেষ্টা করেও শহরের জল সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে পারছে না। বিকল্প হিসেবে পুরনো বুস্টিং পাম্পগুলি চালানো হচ্ছে। কিন্তু সেখান থেকে প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য জল উঠছে। ফলে লোকজনের কষ্ট চলছেই। ভরা গরমের জলের জন্য হাহাকার শুরু করেছে। শহরের এক বাসিন্দা বলছেন, ‘‘পুরসভার প্রকল্প থেকে জল মিলছে না। ফলে আমরা বাধ্য হয়ে বাজার থেকে বোতলবন্দি জল কিনতে হচ্ছে। কবে যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে, তা বুঝতে পারছি না।’’

পুরপ্রধান তৃণমূলের অজয় দে বলেন, “ভাগীরথী নদী থেকে জল সংগ্রহ করা হয়। সেই জল শোধন করার জন্য প্রয়োজন কম করে চারশো ভোল্টেজ। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতর সাড়ে তিনশোর ভোল্টেজের বেশি কিছুতেই সরবরাহ করতে পারছে না। সেই কারনে আমরা প্লান্ট চালু করতে পারছি না। শহরের মানুষ জল কষ্টে ভুগছেন। প্রতিদিন যে পরিমান জল প্রযোজন, তার অর্ধেকও সরবরাহ করতে পারছি না। বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলেও কোনও সুরাহা হয়নি।”

যদিও বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, তাদের কর্মীরা রাতদিন এক করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। কিন্তু যে লাইন দিয়ে শান্তিপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় ঝড়ে সেই লাইনের বেশ কয়েকটি টাওয়ার ভেঙে যাওয়ায় এই বিপত্তি হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে অন্য একটি লাইন দিয়ে শান্তিপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু সেই লাইন অতিরিক্ত চাপ নিতে পারছে না। তবে দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন দফতরের কর্তারা। সে দিকেই চাতকের মতো চেয়ে রয়েছেন শহরবাসী।

অন্য বিষয়গুলি:

Water crisis Power Outage Santipur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE