প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে গ্রামকে বাঁচাতে রাজনীতির রং মুছে কাজ করে চলেছেন তেহট্টের চাঁদেরঘাটের বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা মিলেমিশে গ্রামের স্কুলে হওয়া কোয়রান্টিন সেন্টারে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার দিচ্ছেন। পাশাপাশি, তাঁরা মাস্কের ব্যবস্থাও করছেন এবং এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে মাইকে প্রচার করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন ধরে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য চাঁদেরঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে কোয়রান্টিন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার অন্য স্কুলের কোয়রান্টিন সেন্টারগুলিতে শ্রমিকদের পরিবারের লোককেই খাবার পৌঁছে দিতে হচ্ছে। কিন্তু চাঁদেরঘাট এলাকার ওই কেন্দ্রে এর বিপরীত ছবিই দেখা গিয়েছে। ওই কেন্দ্রে থাকা শ্রমিকদের থাকা খাওয়ার জন্য চিন্তা করতে হয় না শ্রমিকের পরিবারকে। গ্রামবাসীরাই সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলে একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটিতে আছেন ৮ জন সদস্য। ওই কমিটির সদস্য দেবল বিশ্বাস, ‘‘বর্তমানে ওই স্কুলে প্রায় ১২০ জন শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের থাকা খাওয়ার সমস্ত খরচ বহন করছেন গ্রামের ক্লাব থেকে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। এমনকি গ্রামের সাধারণ মানুষেরা।’’ তাঁর বক্তব্য, কঠিন সময়ে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ গোটা গ্রাম।
ভাইরাসের মোকাবিলায় সচেতনতামূলক প্রচার এবং শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এলাকার বেশ কিছু যুবক তৈরি করেছেন সেবা সঙ্ঘ। ওই সেবা সঙ্ঘের অমিত মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা প্রত্যেক দিন সকাল ও সন্ধ্যায় শ্রমিকদের চা বিস্কুট, ডিম সেদ্ধ ও অন্যান্য খাবার দিচ্ছি। যাতে তাঁদের কোনও ধরনের সমস্যা না হয় এবং ওই স্কুলে তাঁরা ১৪ দিন কাটাতে পারেন।’’
ওই এলাকার পূর্ব পাড়ার একটি ক্লাবের সদস্য অভিজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘কিছু দিন আগেই আমরা শ্রমিকদের জন্য সেখানে ভাত ও মাংসের ব্যবস্থা করি।’’ স্কুল কমিটির সদস্যরা জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা প্রায় প্রত্যেক দিন নানা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং খাবার দিচ্ছেন।
চাঁদেরঘাটের পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিমা বিশ্বাস বলেন, ‘‘গ্রামের স্কুলে থাকা শ্রমিকদের দেখভালের জন্য পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সর্বদলীয় একটি কমিটি করা হয়। প্রত্যেক দলের সদস্যরাই শ্রমিকদের জন্য এগিয়ে এসেছেন। এটা খুবই প্রশংসনীয় ব্যাপার। তাছাড়া শ্রমিকদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা দ্রব্য সরবরাহ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy