মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক এবং প্রশাসকদের পোস্টিংও নিয়ন্ত্রণ করতেন ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র প্রভাবশালী চিকিৎসকেরা? গত এক মাসে রাজ্য স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নানা দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে সরব হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাতে বার বার নাম জড়িয়েছে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’-র। সেই আবহেই এ বার ‘ভয় দেখানোর’ এই সংস্কৃতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গড়ল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ।
আরও পড়ুন:
গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ উঠেছে বিশেষ ক্ষমতাবান গোষ্ঠী উত্তরবঙ্গ লবির বিরুদ্ধে। যাদের ‘দাসত্ব’ মেনে না নিলে অবধারিত ছিল বদলি। পদোন্নতি থেকে পরীক্ষায় পাশ করা— সবই চলত এই গোষ্ঠীর অঙ্গুলিহেলনে। ইতি মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ডিন ও সহকারী ডিন। পাঁচ পড়ুয়াকে ছ’মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং প্রাক্তন আরএমও অভীক দে-কে সাসপেন্ড করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তাঁদের অন্যত্র বদলি করা হয়। কাউন্সিলের বৈঠক ডেকে ৪০ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষও। এ বার সেই একই পথে হেঁটে সিন্ডিকেটের দাদাগিরি রুখতে তদন্ত কমিটি গঠন করল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।
আরও পড়ুন:
এ বিষয়ে বুধবারই একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটিতে থাকবেন সাত জন সদস্য। থাকবেন এক জন আহ্বায়ক, এক জন চেয়ারপার্সন এবং পাঁচ জন সাধারণ সদস্য। মেডিক্যাল কলেজের ডিনও থাকবেন। থাকবেন বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানেরাও। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে দুর্নীতি, হুমকি এবং অপ্রীতিকর সমস্ত ঘটনার অভিযোগগুলির তদন্ত করবে এই কমিটি।