শুভেন্দু অধিকারীর দোসর হিসেবে, মুর্শিদাবাদ দখলে এ বার ডাক পড়ল শঙ্কর সিংহের।
অধীর চৌধুরীর গড়ে ফাটল ধরাতে শুভেন্দুকে পর্যবেক্ষক করে পাঠিয়েছিল তৃণমূল, দলনেত্রীর মুখ রেখে সে ‘কাজে’ পরিবহণমন্ত্রী যে যথেষ্ট সফল তা নিয়ে সংশয় নেই। তবে, দখলদারির সেই পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছিল দলেও। তৃণমূলের একাংশের মতে, সে ব্যাপারে লাগাম টানতে এ বার শুভেন্দুর সঙ্গে শঙ্করকে জুড়ে দেওয়া হল। তবে শঙ্কর বলছেন, ‘‘দল আমাকে যে দায়িত্বই দেবে, তা পালন করার চেষ্টা করব।’’
অধীর-শঙ্কর সম্পর্ক যে বিশেষ মসৃণ ছিল না, কংগ্রেসে থাকাকালীন তা দলীয় কর্মীদের চোখ এড়ায়নি। তবে, নির্বাচনের আগে, শঙ্করের নির্বাচনী কেন্দ্র রানাঘাটে সভা করে বর্ষীয়ান ওই নেতাকে পাশে নিয়ে অধীর জানিয়ে গিয়েছিলেন, ‘শঙ্করদার মতো এমন দাপুটে নেতা কংগ্রেস আরও কয়েক জন থাকলে দলটার চেহারাই বদলে যেত!’
তবে, নির্বাচনের পরেই পড়শি জেলার ওই নেতার সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সম্পর্কটা সেই পুরনো জায়গাতেই ফিরে গিয়েছিল। জেলা কংগ্রেসের অনেকেই মনে করেন, শঙ্করের দলত্যাগের পিছনেও সেটা একটা বড় কারণ। এ বার সেই তাস ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল। ৮ সেপ্টেম্বর শঙ্করকে ওই দায়িত্ব তাই মৌখিক ভাবে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল ভবন সূত্রে খবর। মঙ্গলবার বহরমপুরে তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন বলছেন, “রানাঘাটের বিধায়ক শঙ্কর সিংহকে সহযোগী পর্যবেক্ষক করেছেন দলনেত্রী। তিনি শুভেন্দুর সহযোগী হিসেবে কাজ করবেন।” কেন? মান্নানের ব্যাখ্যা “দলনেত্রী মনে করেছেন শুভেন্দুকে সাহায্যের জন্য আর এক জন পুরনো নেতার প্রয়োজন। তাই শঙ্করকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’ ২০ সেপ্টেম্বর কান্দিতে দলের বর্ধিত সভা। সেখানে শুভেন্দু ছাড়াও শঙ্কর সিংহকে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের অন্দরের খবর, সে দিনই আনুষ্ঠানিক ভাবে শঙ্করের দায়িত্ব জানিয়ে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy