Advertisement
২৫ অক্টোবর ২০২৪
Murshidabad Medical College

মেডিক্যাল কলেজে গার্লস হস্টেল ক্যাম্পাসে উঁকিঝুঁকি! বহরমপুরে দুই যুবককে মার, পরে গ্রেফতার করল পুলিশ

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, গার্লস ও বয়েজ় হস্টেলের পিছনে আরও ১০টি অতিরিক্ত সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। ১০ দিন যাতে তার রেকর্ডিং থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

— প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৪ ১২:৫৪
Share: Save:

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গার্লস হস্টেলের সামনে সন্দেহভাজন দুই যুবককে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি দেখে গ্রেফতার করল পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কয়েক জন চিকিৎসক ওই দুই যুবককে পাকড়াও করে মারধর করেন। তার পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় দুই অভিযুক্তকে। বহরমপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কী উদ্দেশে দু’জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গার্লস হস্টেলের সামনে ঘোরাঘুরি করছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। অন্য দিকে, চিকিৎসক পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছেন মধ্যরাতে অবাধে গার্লস হস্টেলের মধ্যে কেউ কেউ ঢুকে পড়েন। নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা।

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিতকুমার দাঁ জানান, বিশাল জায়গা জুড়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাস। তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় ১,২০০ রোগী থাকেন। রোগীর ‘পার্টি’ (পরিজন বা বন্ধুবান্ধব) হিসাবে অনেকেই বাইরে থেকে ঢোকেন। ফ্যাকাল্টিতে যাঁরা আছেন, তাঁদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করলাম। একটা ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না-হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, চিকিৎসকদের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, দু’জন ভুল করে ঢুকে পড়েছিলেন। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ফাঁকা জায়গা খুঁজছিলেন। যদিও এই ঘটনার পরে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসক এবং মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, ২৪ ঘণ্টার জন্য জোরদার করতে হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাশাপাশি সমস্ত জায়গায় সিসিটিভির নজরদারি বাড়াতে হবে। বস্তুত, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রেক্ষিতে চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পড়ুয়াদের বড় অংশ যে চিন্তিত এবং আতঙ্কিত তা-ও জানিয়েছেন কেউ কেউ।

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, গার্লস এবং বয়েজ় হস্টেলের পিছনে আরও ১০টি অতিরিক্ত সিসিটিভি বসানো হচ্ছে। ১০ দিন যাতে সেগুলির রেকর্ডিং থাকে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা যাতে ‘সিকিউরিটি’ থাকেন, তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘বিশেষ করে রাতের দিকে যাতে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন, সেটা আমরা দেখছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজের এক পাশে বহরমপুর কোর্ট স্টেশন থাকার ফলে অনেকেই ওই দিকের ছোট গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন। রাত ১১টার পরে ওই দিকের গেট এ বার থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। সকাল ৭টার সময় সেই দরজা খোলা হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE