Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪

ভেটিভারের কাজ দেখতে নিউ জার্সি থেকে ধুবুলিয়া

নদীর ভাঙন রোধে গত বছর নদিয়া জেলার বিভিন্ন নদীর পাড়ে ভেটিভার লাগানোর কাজ শুরু করেছিল। ইতিমধ্যে জেলায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার নদী পাড়ে ভেটিভার লাগানো হয়েছে।

ভেটিভার ঘাস নিয়ে চলছে আলোচনা। — নিজস্ব চিত্র।

ভেটিভার ঘাস নিয়ে চলছে আলোচনা। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩২
Share: Save:

নদীর ভাঙন রোধে গত বছর নদিয়া জেলার বিভিন্ন নদীর পাড়ে ভেটিভার লাগানোর কাজ শুরু করেছিল। ইতিমধ্যে জেলায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার নদী পাড়ে ভেটিভার লাগানো হয়েছে। আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে জেলার আরও প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার নদীর পাড়ে ভেটিভার লাগানো হবে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে বিষয়টি জানতে পেরে নদিয়ায় আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন আমেরিকার নিউ জার্সির স্টিভেন্স ইনসটিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক দিব্যেন্দু সরকার এবং মিচিগান টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রুপালি দত্ত।

জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তাঁরা সোমবার নদিয়ায় আসেন। ধুবুলিয়া এবং নাকাশিপাড়ার চারটি জায়গায় নদীর পাড়ে ভেটিভার কী ভাবে লাগানো হয়েছে, তা ঘুরে দেখেন ওই দুই অধ্যাপক। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণের ‘ভেটিভার ম্যান’ নামে পরিচিত পি ভিনসেন্ট। এলাকা ঘোরার পর তাঁরা জেলাশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকের মুখোমুখি হন।

জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা জানান, “জেলার ভাগীরথী, জলঙ্গি, ইছামতি, মাথাভাঙ্গা, চূর্ণী এবং পদ্মার প্রায় ৭৪৫ কিলোমিটার পাড়ের ক্ষয়রোধে ভেটিভার লাগানো শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার লাগানো হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে বাকি এলাকায় ভেটিভার লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ভেটিভার মাটির ক্ষয়রোধ করে। তাছাড়াও ভেটিভারের খড় থেকে নানা ধরনের শৌখিন জিনিসপত্র বানানো হয়। এর ফলে একদিকে নদী পাড়ের ক্ষয়রোধ হবে, তেমনি এলাকার লোকজন হাতের কাজ করে স্বনির্ভর হবেন।’’

অধ্যাপক দিব্যেন্দু সরকার এবং অধ্যাপক রুপালি দত্ত জানান, ভেটিভার মাটির ক্ষয়রোধের পাশাপাশি দূষণ নিয়ন্ত্রন করে। তাঁরা ভেটিভারের উপরে নানা ধরনের গবেষনা চালাচ্ছেন। নদিয়ায় ভেটিভার লাগানোর বিষয়টি জানতে পারার পর জেলা প্রশাসনের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Researchers New Jersey vetiver
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE