ছবি: ‘সামারসল্ট’।
বাজারের থলি থেকে কুমড়ো উঁকি দিলেই মাথাগরম হয়ে যায় গিন্নির। তবে আজ বিষয়টা উল্টে গিয়েছে। মস্ত একটা গোটা কুমড়ো দেখে তাঁর মুখের হাসি আরও চওড়া হয়ে উঠেছে। কারণ, বাড়িতে হ্যালোউইন পার্টির আয়োজন চলছে। আর সেখানে কুমড়ো থাকা আবশ্যিক। উৎসব উপলক্ষে বাড়ি সাজানো হবে। সেই কাজের মূল উপাদান হল কুমড়ো।
এই হ্যালোউইন অনেকটা এ দেশের ভূত চতুর্দশীর মতোই। হরেক রকম ভূত সেজে রাতভর পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে চলে হইহুল্লোড়, দেদার পার্টি। সেই সঙ্গে থাকে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও। তবে এই হ্যালোউইন উৎসব এখন আর শুধু বিদেশে আবদ্ধ নেই। এ দেশেও তা রীতিমতো উৎসাহের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তাই হ্যালোউইন উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন রেস্তরাঁ তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছে। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খেতে যাওয়ার আগে দেখে নিন কোথায় কী কী পাওয়া যাচ্ছে।
চৌরঙ্গি রোডের উপর রয়েছে ‘দ্য ফ্ল্যামবয়েন্ট’ রেস্তরাঁ। সেখানে রয়েছে নানা ধরনের ‘ককটেল’, অর্থাৎ পানীয়ের বিপুল সম্ভার। ‘ব্লাডি ফ্যান্টম’, ‘মিডনাইট লাস্ট ব্রিদ’, ‘ওয়েলিং উইচেস কার্স’, ‘ভ্যাম্পায়ার এলিক্সার’-এর মতো পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন। এই রেস্তরাঁয় পেটপুজোর ব্যবস্থাও রয়েছে। হ্যালোউইন উপলক্ষে ‘দ্য ফ্ল্যামবয়েন্ট’ পিৎজ়া এবং পাস্তার মতো পদেও থাকবে বৈচিত্র। চাইলে চেখে দেখতে পারেন ‘উইডোজ় ওয়েব ব্ল্যাক ডেথ পিৎজ়া’, ‘স্যাভেজ বিস্টস ব্লাড স্লাইডার’, ‘উজ়িং স্নেল আই পাস্তা’। শেষ পাতে থাকতেই পারে ‘কার্সড গবলিন্স গ্রেভিয়ার্ড’। নাম শুনে ভয় লাগলেও খেতে কিন্তু মন্দ লাগবে না। এক জনের জন্য খরচ পড়বে ৬০০ টাকার মতো। চলবে ২ নভেম্বর পর্যন্ত।
হ্যালোউইন উপলক্ষে বিভিন্ন রকম প্ল্যাটার, ডেজ়ার্টের বিপুল সম্ভার নিয়ে পসরা সাজিয়েছে ‘প্যাপরিকা গোরমে’। ‘লাজ়ানিয়া’, ‘প্যাড থাই নুডল্স’, ‘আইসক্রিম স্যান্ডউইচ’, ‘হেজ়েলনাট সিলিন্ডার’-এর মতো রয়েছে আরও অনেক লোভনীয় খাবার। হ্যালোউইনের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে খেতে যেতেই পারেন এই রেস্তরাঁয়। ২০০ টাকা থেকে খরচ শুরু। চলবে ১ নভেম্বর পর্যন্ত।
দীপাবলি বলুন কিংবা হ্যালোউইন, বন্ধুদের জমায়েত একটা হবে। সঙ্গে থাকবে তাঁদের খুদেরাও। দু’-তিন কামরার ছোট্ট ফ্ল্যাটে আবদ্ধ না রেখে তাদের নিয়ে চলে যেতে পারেন এজেসি বসু রোডে ইন্ডোর প্লে অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট সেন্টার ‘সামারসল্ট’ সংস্থায়। খুদেদের ব্যস্ত রাখার জন্য অভিভাবকেরা অনেক সময়ে হাতে মোবাইল ধরিয়ে দেন। এই অভ্যাস তো ভাল নয়। সে ক্ষেত্রে খুদেদের ব্যস্ত রাখার দারুণ বিকল্প হতে পারে এই ধরনের ‘ইন্ডোর প্লে গ্রাউন্ড’। দীপাবলি এবং হ্যালোউইন উপলক্ষে সেখানে থাকবে হাতের কাজ, আঁকিবুকি, প্রদীপ তৈরি করা, রঙ্গোলি দেওয়ার মতো বিভিন্ন ধরনের সৃজনমূলক কাজ। কাপকেক, কুকিজ় তৈরি করার প্রাথমিক পাঠও দেওয়া হবে সেখানে। গল্পের ছলে রামায়ণ পাঠ করে শোনাবেন কবিতা গুপ্ত। মাথাপিছু খরচ প্রায় ৫০০ টাকার মতো। চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy