ছবি: সঞ্জীব প্রামাণিক
কথায় আছে বাপ কা বেটা! কিন্তু এ বারে বাবাকেই হারিয়ে দিলেন ছেলে। বাবার সিক্স-প্যাক। ছেলের এইট-প্যাক।
বেলডাঙার কার্তিক লড়াইয়ে এ বার নজর কাড়ছে মহাদেব, গণেশ। কার্তিক মাসের শেষ দিনে কার্তিক পুজো। এত দিন বেলডাঙা দেখে এসেছে ভুঁড়িওয়ালা শিব, গণেশ। কিন্তু সময় ছুটছে ফোর-জি গতিতে। তা হলে প্রতিমাতেও বদল নয় কেন?
তাই উদ্যোক্তাদের আবদারে শিল্পীও তৈরি করেছেন বাহুবলী হনুমান, সিক্স-প্যাক শিব, এইট-প্যাক গণেশ। সঙ্গে ১৪ ফুটের সরস্বতী, ১২ ফুটের বিশ্বকর্মা। সঙ্গে আরও প্রতিমা। বেলডাঙার মণীন্দ্রনগর বিবেকানন্দ ক্লাবের পুজো এ বার ন’বছরে পড়ল। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, শিবের চেহারার এ বার একটা বদল তাঁরা চেয়েছিলেন। গুগল করে উদ্যোক্তারা সিক্স-প্যাকের সুঠাম শিবও পেয়ে গেলেন। মহুলার মৃৎশিল্পী অরূপ ঘোষ সেই মতো গড়লেন সিক্স-প্যাকের শিব। পুজো কমিটির সম্পাদক শুভদীপ মণ্ডল বলছেন, ‘‘বলতে পারেন, এটা আমাদের চমক। নতুন কিছু না করতে পারলে আজকাল আর মান থাকে না।’’
পিছিয়ে নেই বেলডাঙার মহাবীর সঙ্ঘও। তাদের আকর্ষণ গণেশ। তবে গণেশ বাপকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। মাথায় হাতির মাথাই আছে। কিন্তু চেহারা এইট-প্যাক। উদ্যোক্তাদের দাবি, তাঁদের পুজো এ বার তিন বছরে পা দিয়েছে। লোকজন এত দিন ‘গণেশ দাদার পেটটি মোটা’ দেখেই অভ্যস্ত। সেই রীতি থেকে সরে এসে এ বার এইট প্যাক। সঙ্গে বাহুবলী হনুমান।
বেলডাঙা বাউরিপাড়া এলাকায় হনুমানেরও সিক্স-প্যাক। পুজোর অন্যতম মন্টু দলুই বলছেন, ‘‘বাহুবলী সিক্স-প্যাকের হনুমান এ বারই প্রথম।’’ বেলডাঙার প্রবীণ সরমা দলুই বলেন, ‘‘যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কত কিছুই তো বদলে যাচ্ছে। আজ যেটা নিয়ে হইচই হচ্ছে, কাল আবার সেটাও বদলে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy