শেহনাজ সুলতানা। ফাইল চিত্র
নিজের বাড়িতে ছাত্রী খুনের ঘটনায় তারই এক সহপাঠীকে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। শেহনাজ নামে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে ওই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলছে। পুলিশের দাবি, দু-এক দিনের মধ্যেই ছাত্রী খুনের কিনারা হয়ে যাবে।
রবিবার দিনভর পুলিশ ওই তরুণীর সহপাঠী ও বন্ধুদের থানায় ডেকে একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। স্থানীয় জনা চারেক যুবককে জেরার পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও আটক করে রাখা হয়েছে এক যুবককে।
তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় থাকা ওই যুবক সাহেবনগর গ্রামেরই। মাধ্যমিকে ওই তরুণীর সহপাঠী ছিল সে। তার সঙ্গে কোনও এক সময় ওই তরুণীর ‘সম্পর্ক’ও তৈরি হয়েছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে। তবে, মাস চারেক ধরে ওই তরুণী ওই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিল। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সম্ভবত, তার জেরেই খুন।’’ যে ছুরি দিয়ে তরুণীর গলার নলি কাটা হয়েছে সেটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
সাগরদিঘির মনিগ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবনগর গ্রামে শুক্রবার রাতে বাড়ির বাইরে শৌচাগারের পাশে গলার নলি কাটা অবস্থায় শেহনাজের দেহ মেলে। জঙ্গিপুর কলেজের প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্সের ছাত্রীকে শুক্রবার রাতে কেউ মোবাইলে ডাকে। না আসায় ঢিল ছোঁড়া হয় ঘরের খোলা জানালা দিয়ে তার বিছানায়। তার পরেই সে উঠে শৌচাগারে যায় বলেই পুলিশের অনুমান। বাড়ির বাইরে বেরোতেই শৌচাগারের পাশেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে নৃশংস ভাবে খুন করা হয় তাকে। পুলিশ নিশ্চিত তার অতি পরিচিত কেউই এই খুনের ঘটনায় জড়িত।
জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলছেন, ‘‘তদন্ত চলছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয় নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ধীরে ধীরে তদন্তের জট খুলছে। আসা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত কুয়াশা কাটবে। ধরা পড়বে আততায়ী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy