কখনও ঘুমন্ত হাত, কখনও বা ‘অতি সজাগ’ হয়ে অভ্যস্থ হাত চাইছিল সেলফি তুলতে।
রেষারেষির পর্বে যার ফল হয়েছে মারাত্মক। হাত গিয়েছে কাটা, কেউ বা বেঘোরে মারা গিয়েছেন।
সেই তালিকায় শেষ সংযোজন রেখা শীল। করিমপুর থেকে মুরুটিয়ার হরিপুর গ্রামে বাড়ি ফেরার পথে ফের দুর্ঘটনায় হাত কেটে রক্তক্ষরমে মারা গেলেন ওই মধ্য পঞ্চাশ মহিলা।
সরু রাস্তায়র চামরা ওঠা দশা। তাতে অবশ্য গতির বিরাম নেই। উপরি, রেষারেষি। গত কয়েক মাসে, তার জেরে, একের পর দুর্ঘটনার বিরাম নেই।
বাসের সহযাত্রীরা জানিয়েছেন, বাসের জানালার বাইরে রাখা ছিল ওই মহিলার ডান হাত। সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন তিনি। তবে, এ ক্ষেত্রে রেষারেষি নয়, কৃষ্ণনগরের কাছে পানিনালায় কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কের উপরে উল্টো দিক দিয়ে আসা একটি গাড়িকে পথ ছাড়তে গিয়ে বাসের গা ঘষে গিয়েছিল রাস্তার পাশে গাছে। হাত কেটে প্রায় ঝুলতে থাকে ওই মহিলার। ছিঁড়ে যায় একাধিক শিরা। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে, রক্তক্ষরণে মারা যান তিনি।
বার বার এই ধরনের দুর্ঘটনায় শুধু যাত্রীরা নন, উদ্বিগ্ন পুলিশ-প্রশাসনও। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বাসের দোষ তো থাকেই। যাত্রীদেরও সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে অস্বীকার করার উপায় নেই।’’
নদিয়া জেলা বাসমালিক সমিতির পক্ষে অসীম দত্ত বলেন, “আমাদের কর্মীরা সবসময়ই যাত্রীদের সতর্ক করে দেন। কিন্তু কে কার কথা শোনে। তাছাড়া ওই এলাকায় রাস্তা অনেকটাই সরু। রাস্তার পাশেপাশের আবার গাছ। সেই কারনেই হয়ত পাশ দিতে গিয়ে দুর্ঘটনাটা ঘটে গিয়ে থাকতে পারে।”
বছর কয়েক আগে একই ভাবে ভাতজাংলার কাছে লরির ধাক্কায় এক যাত্রীর হাত কাটা গিয়েছিল, মারাও গিয়েছিলেন ওই যাত্রী। মাস দেড়েক আগেও একই ভাবে লরির ধাক্কায় দুর্গাপুর এলাকায় হাত কাটা গিয়েছিল এক ছাত্রীর। একই ঘটনার সাক্ষী হয়েছে পড়শি জেলা মুর্শিদাবাদও। ডোমকলে একই ভাবে মারা গিয়েছিলেন এক মহিলা। গত বছর কান্দিতেও একই দুর্ঘটনায় হাত-হারাতে হয়েছিল এক যুবককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy