প্রতীকী চিত্র।
মাতৃজঠরেই শিশুর পেটের পিত্তথলিতে (গল ব্লাডার) পাথর জমেছিল। জন্মের আগেই আলট্রাসোনোগ্রাফিতে ধরা পড়েছে ১০ মিলিমিটারেরও বড় সেই পাথর।
ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল ডোমকল থানার বসন্তপুর গ্রামের প্রসূতি মারুফা বিবিকে। গত ২০ জুন তাঁর মেয়ে নুসরত খাতুন ভূমিষ্ঠ হয়। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিরুপম বিশ্বাস বলেন, ‘‘এটা একটা বিরল ঘটনা।’’ যে চিকিৎসকের কাছে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়েছে সেই শ্রীপর্ণা বিশ্বাসের দাবি, ‘‘শল্য চিকিৎসা করে দ্রুত পাথর বের করা না হলে শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত হবে। এখানে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেই। শিশুটিকে যাতে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া য়ায়, তার জন্য মা সুস্থ হতেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’
কলকাতার শিশুরোগ চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘সদ্যোজাতের পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঘটনা বিরল, এটা সত্যিই। বিশ্বে প্রতি দশ হাজারে ১৩ জন সদ্যোজাতের ক্ষেত্রে এ রকম শোনা যায়। পুরুষ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা তুলনায় বেশি।’’ তবে তাঁর মতে, ‘‘সাধারণত নিজে থেকেই এই পাথর নির্মূল হয়ে যায়। তা না হলে ওষুধ দেওয়া হয়। শিশুটিকে নজরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করতে হবে একেবারে শেষ ধাপে।’’
বসন্তপুর কলেজের ক্যান্টিনের আয় থেকে কোনও মতে সংসার চলে মারুফা বিবি ও তাঁর স্বামী জাহাঙ্গির আলমের। মারুফা বিবির পিত্তথলিতে পাথর হয়েছিল। বছর দুয়েক আগে তা অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়েছে। চিন্তিত জাহাঙ্গির বলেন, ‘‘কত টাকার ধাক্কা যাবে, কে জানে!’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছে এ জন্য সুপারিশ করে চিঠি লিখেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy