প্রতীকী ছবি
দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকার মসজিদে ‘তবলিগ জামায়েতের’ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের দু’জন। তাঁদের এক জন প্রৌঢ়। আদতে বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা, তবে থাকেন বহরমপুরে। আর এক জন বৃদ্ধ বেলডাঙার বাসিন্দা। তাঁরা মার্চের শুরুতে সেখানে পৌঁছে ১১ মার্চ ফিরে আসেন। নিজামুদ্দিনের ওই ধর্মীয় জমায়েতে কারা যোগ দিয়েছেন, তা নিয়ে খোঁজ খবর শুরু হতেই স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসন ওই দু’জনের খোঁজ পান। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা তাঁদের পরীক্ষা করে দেখেন। তাঁদের করোনাভাইরাসের কোনও উপসর্গ নেই। এ ছাড়া দিল্লি থেকে ফেরার প্রায় ২০ দিন হয়েছে। তবুও তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা দু’জনেই জানিয়েছেন, দিল্লি থেকে ফিরেই তাঁরা নিজে থেকেই বাড়িতে আলাদা থাকছেন। কারও সঙ্গে মিশছেন না।
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘দিল্লির ওই সমাবেশে জেলার দু’জন যোগ দিয়েছিলেন বলে জানতে পেরেছি। তাঁদের করোনার উপসর্গ দেখা যায়নি। বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।’’ মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাসও বলেন, ‘‘করোনার কোনও উপসর্গ নেই। তবে তাঁরা নজরদারিতে রয়েছেন।’’
বেলডাঙার ওই বৃদ্ধ জানান, ৫ মার্চ শিয়ালদহ থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসে চেপে পরের দিন দিল্লি পৌঁছন। ৫ দিন পরো ১০ মার্চ দিল্লিতে উঠে রাজধানী এক্সপ্রেসে ১১ মার্চ শিয়ালদহ ফেরেন। সেদিন দুপুরে লালগোলা প্যাসেঞ্জারে বেলডাঙায় ফেরেন। তিনি বলেন, ‘‘বাতানুকূল কামরায় থাকার ফলে গলা ব্যথা করছিল। বেলডাঙা হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। আমি সুস্থ আছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘প্রথম দিন থেকে আলাদা ঘরে থাকছি। কারও সঙ্গে মিশছি না।’’
অন্য জন ৪ মার্চ এয়ার এশিয়ার বিমানে দিল্লি পৌঁছন। ১০ মার্চ রাতে তিনি জেট এয়ারওয়েজের বিমানে কলকাতা ফেরেন। পরের দিন ভোরে কলকাতা স্টেশন থেকে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে করে বহরমপুর পৌঁছন। তাঁর দাবি, ‘‘আমি প্রথম দিন থেকে আলাদা ঘরে থাকছি। আমি সুস্থ আছি। স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে প্রশাসনের লোকজন আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। আমাকে পরীক্ষা করেও গিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy