মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচিতে সোমবার দুপুরে নবাব বাহাদুর'স ইনস্টিটিউশনের মাঠে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করলেও পর্যটন নিয়ে কোনও মন্তব্য করলেন না। তাতে হতাশ প্রাচীন এই শহরের পর্য়টন ব্যবসায়ীরা। যদিও মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধানের দাবি মুখ্যমন্ত্রী জেলার উন্নতির জন্য যে অর্থ ঘোষণা করেছেন তার মধ্যেই পর্যটন বিষয় রয়েছে।
মুর্শিদাবাদ শহরের বহু পর্যটক আসেন হাজারদুয়ারি দেখতে। পাশাপাশি ঘুরে দেখেন কাঠগোলা বাগান, নশিপুর রাজবাড়ি সহ একাধিক ঐতিহাসিক স্থাপত্য। পর্যটনের উপরে নির্ভর করেই দিন যাপন করেন গাইড, টাঙা চালক, টোটো চালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পর্যটন বিষয়ক কোনও কথা মুখ্যমন্ত্রী বলেননি। আর তাতেই আশাহত পর্যটন ব্যবসার সাথে যুক্ত মানুষেরা। মুখ্যমন্ত্রী আসবেন বলে তৃণমূলের দলীয় পতাকায় মোড়া হয়েছিল শহর। তা দেখে বিরোধীরা এই কর্মসূচিকে রাজনৈতিক কর্মসূচিও বলেছেন।
মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদ শহরে এসে নানা বিষয়ে কথা বললেন, কিন্তু তিনি যদি পর্যটন নিয়েও একটি প্রস্তাব রাখতেন, তা হলে আমরা মুর্শিদাবাদবাসী খুশি হতাম। আমরা এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম মুর্শিদাবাদ-বহরমপুর-জিয়াগঞ্জকে নিয়ে একটি উন্নয়ন পর্ষদ যাতে তৈরি করা হয়।’’
তিনি বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে অজস্র স্থাপত্য সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংস হয়ে যেতে বসেছে। এই কারণেই উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হওয়া দরকার। মুর্শিদাবাদে যে সংখ্যক পর্যটক আসছেন, তাঁদেরও সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া যাবে যদি একটি উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদ আসার আগের দিন রবিবার, ছয় দফা দাবি নিয়ে আমরা ফের তাঁর কাছে একটি মেল করেছি। তার মধ্যে ভাগীরথীর উপরে একটি সেতু নির্মাণ, উন্নয়ন পর্ষদ তৈরির কথা রয়েছে।’’
টাঙা চালক সংগঠনের নেতা মনু শেখ বলেন, ‘‘জেলাবাসীর একটি আশা ছিল, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদ শহরে এসেছেন, তাই পর্যটন বিষয়ে তিনি কোনও কথা বলবেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। ফলে জেলার মানুষ আশাহত। আর তিনি যে কর্মসূচিতে যোগ দিলেন, তা প্রশাসনিক সভা নাকি রাজনৈতিক সভা, তা আমরা বুঝতে পারলাম না।’’ মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ১৫০ কোটি টাকার যে প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন তার মধ্যেই পর্যটন বিষয়টিও রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy