জমি সংক্রান্ত বিবাদে এক ব্যক্তিকে লাঠি ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় কান্দি থানার কান্দি-সালার রাজ্য সড়কের উপর কল্যাণপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। ওই ঘটনায় জখম রেনুপদ ঘোষ আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জখম ওই ব্যক্তি কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা। জখম ওই ব্যক্তির ভাই নারায়ণচন্দ্র ঘোষ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় রেনুপদবাবু বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার ধারে ঘুরছিলেন। সেই সময় জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী ওই তাঁকে প্রথমে ঘিরে ধরে। পরে লাঠিপেটা করে। ধারাল অস্ত্র দিয়েও রেণুপদবাবুকে দুর্বৃত্তরা আঘাত করে বলে অভিযোগ। তারপর তারা রাস্তায় ওই ব্যক্তিকে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয়। পথচারীরা জখম রেণুপদবাবুকে রাস্তা থেকে তুলে প্রথমে কান্দি হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রেণুপদবাবুর ভাগ্নি জামাইয়ের বাড়ি পাশের গ্রাম চৈতন্যপুরে। অভিযোগ, তাঁর জমির উপর গ্রামেরই কয়েকজন জোর করে রাস্তা তৈরি করছিলেন। রেণুপদবাবু ওই ঘটনার প্রতিবাদ করায় চৈতন্যপুরের কয়েকজন বিরাগভাজন হন তিনি।
পুলিশের অনুমান, চৈতন্যপুরের ওই লোকজনই রেণুপদবাবুর উপর হামলা চালিয়েছে। জখম ওই ব্যক্তির ভাই নারায়ণচন্দ্র ঘোষ পুলিশের কাছে চৈতন্যপুরের পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে তিনি পাঁচজন কারা তা নির্দিষ্ট করে পুলিশের কাছে নালিশ জানাননি।
এই ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছে রেণুপদবাবুর তুতো ভাই ধনঞ্জয় ঘোষ জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘দাদা তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তাই পাশের গ্রামের কংগ্রেসের লোকজন ওঁর উপর এ ভাবে আক্রমণ করল।’’ কান্দি মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা নেহাতই জমি-জমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই ঘটেছে। তৃণমূল এটাকে নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy