কানা ময়ূরাক্ষীতে নৌকা ডুবে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় মাঝিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম ধর্মদাস রাজবংশী। তাঁর বাড়ি খড়গ্রামের ধামালিপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরে ওই মাঝির বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। বুধবার সেই অভিযোগেই ধর্মদাসকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নৌকা ডুবে মারা যায় হরিনারায়ণপুরের বাসিন্দা জ্যোতির্ময় সরকার (১৫)। সে পুরন্দরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ঘটনার পর থেকে ক্ষুব্ধ ওই নদী পাড়ের বাসিন্দারা নদীর উপরে সেতুর গড়ার দাবি তুলেছেন। বুধবার ওই একই দাবিতে কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করেছিল পড়ুয়ারা।
কিন্তু সেতুর ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। এ দিকে মাঝিকে গ্রেফতারের খবর শুনে গ্রামের বাসিন্দারা আরও ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি, ঘটনার সময় মাঝি নৌকাতেই ছিলেন না। পড়ুয়ারা নিজেরাই নৌকায় উঠে দড়ি টেনে পাড়ের দিকে যাচ্ছিল। মাঝ নদীতে নৌকা উল্টে এমন বিপত্তি। এক্ষেত্রে মাঝির তো কোনও দোষ নেই।
গ্রামবাসীরা বলছেন, ‘‘এই ঘটনার দায় শুধু মাঝির উপরে চাপিয়ে দায় সারতে চাইছে প্রশাসন। আমরা কিন্তু তা হতে দেব না। মাঝির যদি কর্তব্যে গাফিলতি থাকে তাহলে এতদিন ধরে নাগাড়ি সেতুর দাবি জানিয়ে এসেও সেতু করেনি প্রশাসন। সেতুটা হয়ে গেলে ওই ছাত্র মারা যেত না। তাহলে তো এই মৃত্যুর দায় প্রশাসনকেও নিতে হয়।’’ ওই নদীতে ফেরিঘাটের ব্যবস্থা করার জন্য কান্দি ও খড়গ্রামের বিডিও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে এ দিন বৈঠক করেছেন। বিডিও সুরজিত রায় ও খুরশিদ আলম বলেন, “ওই নদীটির দু’পাড় দুই ব্লকের হওয়ার জন্য সমস্যা হচ্ছে। তবে বিষয়টি জেলা পরিষদের মাধ্যমে দ্রুত ফেরিঘাটের ব্যবস্থা করার করা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি জেলা শাসককে জানান হয়েছে।”
পুরন্দরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সৈয়দ কাঞ্চন বলেন, “আমরাও আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের সঙ্গে আছি। আমারাও চাই দ্রুত ওই নদীর উপরে সেতু তৈরি হোক। এবং সেই সেতু হবে আমাদের ওই ছাত্র জ্যোতির্ময় সরকারের নামে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy