প্রতীকী ছবি।
পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ— একটি আসনেও ভোট হবে না, এমন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা মুর্শিদাবাদে ২,৮২৪টি। তার ফলে এ বারের পঞ্চায়েত ভোট করা থেকে ছাড় পেলেন প্রায় ১৯ হাজারের কাছাকাছি ভোটকর্মী।
মুর্শিদাবাদে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ৫ হাজার ১১৬টি। পঞ্চায়েত ভোট প্রস্তুতির সময়ে জেলা প্রশাসনের হিসবে অনুযায়ী ভোটগ্রহণ পিছু পাঁচ জন করে ভোট কর্মী এবং ১২৫০-এর বেশি ভোটার রয়েছে, এমন ১৭৯টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রপিছু বাড়তি এক জন করে ভোট কর্মী নিয়োগ করতে হলে সব মিলিয়ে ভোটকর্মীর প্রয়োজন ছিল প্রায় ৩৩ হাজারের বেশি।
কিন্তু গত ২৮ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনের হিসেব অনুযায়ী গ্রামপঞ্চায়েত স্তরে ২৬৭৭টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৪৭২ এবং জেলাপরিষদের ৪৮টি আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। এ প্রসঙ্গে গ্রামোন্নয়ন দফতরের জেলা আধিকারিক সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, হিসেব কষে দেখা গিয়েছে, আমাদের জেলায় ২ হাজার ৮২৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কোনও ভোট হবে না। তাতে বিশাল সংখ্যক ভোটকর্মী ভোট করা থেকে ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন।
এ দিকে মুর্শিদাবাদ জেলার ২৬টি ব্লকের মধ্যে ডোমকল, রানিনগর ১ ও ২, নবগ্রাম, ভগবানগোলা-২, মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ এবং ভরতপুর-২ ব্লকের কোনও আসনে ভোট হবে না। ওই সাতটি ব্লকে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদের আসনে বিরোধী কোনও প্রার্থী নেই। তার ফলে ভোটও হবে না। ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন এলাকার বাসিন্দারা। তেমনি ভোট নিতে যেতে হবে না জানতে পেরে খুশি ভোটকর্মীরা।
এছাড়া জেলার এমন এনেক ব্লক রয়েছে, যেখানে নামমাত্র ভোটগ্রহণ হবে। যেমন হরিহরপাড়া ব্লকে পঞ্চায়েতের ৪টি আসনে ও পঞ্চায়েত সমিতির ১টি আসনে, জলঙ্গিতে পঞ্চায়েত সমিতির ৩টি ও গ্রামপঞ্চায়েতে ১২টি আসনে, কান্দি ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির ১টি আসনে, খড়গ্রামে পঞ্চায়েত সমিতির ৯টি ও পঞ্চায়েতের ৪৪টি আসনে, বড়ঞা ব্লকে পঞ্চায়েতের ২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ২টি ও পঞ্চায়েতের ১৬টি আসনে, রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকে পঞ্চায়েতের ৫টি আসনে, সুতি-২ ব্লকে পঞ্চায়েতের ৪টি আসনে, সাগরদিঘিতে পঞ্চায়েত সমিতির ৩১টি ও পঞ্চায়েতের ১৯৩টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। ফরাক্কা ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির ২৬টি, পঞ্চায়েতের ১৪৫টি, জেলাপরিষদের ৩টি আসনে ভোট হবে।
জেলার পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদে মোট আসন ৪ হাজার ৯৭৭টি। তার মধ্যে ভোট হবে ১৭৭৯টি আসনে। পঞ্চায়েতে ১৪৯৩টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৬৪ এবং জেলাপরিষদে ২২টি আসনে ভোট হবে। ওই ১৭৭৯টি আসনের জন্য যে ২ হাজার ২৯২টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে, সেখানে ১৪ হাজারের কাছাকাছি ভোটকর্মীর প্রয়োজন হবে বলে জেলাপ্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy