সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী যার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিল, সেই অস্থায়ী কর্মীকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিল নবগ্রামের সিঙ্গার হাইস্কুল। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
অভিযুক্ত কর্মীর শাস্তির দাবিতে শনিবার গ্রামের লোকজন স্কুলের ভিতর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘণ্টা চারেক আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। সঙ্গে ছিল ছাত্রছাত্রীরাও।
তারই মধ্যে ওই ছাত্রী, তার ঠাকুর্দা ও অভিযুক্ত কর্মী সুশান্ত হালদারকে নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় মণ্ডল এবং ওই স্কুলের প্রশাসক তথা নবগ্রামের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভ্রপ্রকাশ ঘটক। পরে শুভ্রপ্রকাশ বলেন, ‘‘অভিযোগ মেনে নিয়েছেন সুশান্ত হালদার। তাই তাঁকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’’
আদরের ছলে একাধিক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে মধ্যবয়সী সুশান্ত হালদারের বিরুদ্ধে। তবে তাঁর দাবি, দাদু-নাতনির সম্পর্ক থেকেই তিনি মেয়েগুলিকে আদর করতেন। যদিও একাধিক ছাত্রীর অভিযোগ, আদরের ছলে সুশান্ত তাদের খারাপ ভাবে ছুঁতেন। সে কথা তারা প্রধান শিক্ষককে জানিওয়েছে।
সুশান্ত যদি অভিযোগ মেনেই নিয়ে থাকেন, তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল না কেন? প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, ‘‘গত ২০ সেপ্টেম্বর ছাত্রীটির থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই স্কুলের প্রশাসককে জানাই। তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, শনিবার উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। এ দিন তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাই আর পুলিশে অভিযোগ করা হয়নি।’’
অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, ‘‘অভিযোগকারী ছাত্রী ও তার ঠাকুর্দা চেয়েছিলেন, অভিযুক্ত কর্মীকে স্কুলের কাজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হোক। সেটা করা হয়েছে।’’ ছাত্রীর ঠাকুর্দা বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের থানায় অভিযোগ করতে বলেননি, তাই তা করিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy