বেহাল চিকিৎসা পরিষেবার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের ঘেরাও করলেন। খড়গ্রামের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার খড়গ্রাম ইন্দ্রানী উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রায় তিন ঘণ্টা ঘেরাও বিক্ষোভ চলে। বাসিন্দাদের অভিযোগ স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক বা চিকিৎসা পরিষেবা কোনও কিছুই সন্তোষজনক নয়। অথচ বারবার স্বাস্থ্য দফতরে অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। তারই প্রতিবাদে এ দিন দুপুর ১২ টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বাসিন্দাদের দাবি ইন্দ্রাণী উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আছেন মাত্র একজন চিকিৎসক, তাও তিনি উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ। সামান্য কোনও সমস্যা নিয়ে গেলেই ‘রেফার’ করে দেন খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে গ্রামীণ হাসপাতালে যেতে এলাকার গরীব কৃষিজীবী পরিবারগুলির যথেষ্ট সমস্যা হয়। স্থানীয় আব্দুল হাকিম বলেন, “এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও দিনই ভাল চিকিৎসক আসেন না। যাঁরা আসেন তাঁরা কেউই তেমন দক্ষ নন। ফলে আমাদের সমস্যা থেকেই যায়।”
তাছাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজনও নার্স নেই। ফার্মাসিস্টের বদলে ওষুধ দেন একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। এলাকার বাসিন্দা মহিউদ্দিন শেখ বলেন, “এ সব অভিযোগ বহুবার জানিয়েছি স্বাস্থ্য কর্তাদের কাছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আজ আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছি।”
এ দিকে খড়গ্রাম ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আমিনা মরিয়াম বলেন, “শুধু ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র নয়, জেলা জুড়েই স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” স্থানীয় বাসিন্দাদের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা উন্নত করার আশ্বাস দেন তিনি। তারপরে ঘেরাও মুক্ত হন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
বাস বন্ধ। কৃষ্ণনগর করিমপুর রুটের এক বাস কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ করে দিলেন কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ দক্ষিণ জিতপুরের নির্দিষ্ট স্টপেজে না নামিয়ে কন্ডাক্টর একব্যক্তিকে পলাশির মোড়ে নামিয়ে দেন। তখনই কনডাক্টরকে মাথায় মারেন ওই ব্যক্তি। মাথা ফেটে যায়। এরপরই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার ও নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে দুপুর একটা থেকে কৃষ্ণনগর-করিমপুর সমস্ত বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই বাসের চালক দেবব্রত হালদার জানান, “নির্দিষ্ট স্টপেজ ছেড়ে আসার পর ওই যাত্রী নামতে চান। পরের স্টপেজে নামিয়ে দেওয়া হয়। বাস থেকে নেমেই কনডাক্টরের মাথায় আঘাত ভারী কোনও কিছু দিয়ে আঘাত করেন করেন তিনি।” পুলিস জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy