তৃণমূলের এক মহিলা নেত্রীকে ‘কুপ্রস্তাব’ দেওয়ার অভিযোগ উঠল দলের জেলা কার্যকরী সভাপতির বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদ জেলা মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা উন্নতি বিশ্বাস শীর্ষ নেতৃত্বকে জানান, জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল তাঁকে দল করার শর্ত হিসেবে কুপ্রস্তাব দেন। উজ্জ্বলবাবু এবং মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক ইন্দ্রনীল সেনের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগও এনেছেন তিনি। দুই নেতাই উন্নতিদেবীর সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সম্প্রতি তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরও ইন্দ্রনীলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ এনেছিলেন।
বুধবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে এসে উন্নতিদেবী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা ওই চিঠি জমা দেন। জেলা পর্যবেক্ষক ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে তিনি কথাও বলেন। সেই সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ইন্দ্রনীলের সঙ্গে উন্নতিদেবীর কথা হয়। পাশেই বসেছিলাম। তবে এ বিষয়ে যা বলার ইন্দ্রনীলই বলবেন।” কান্দি মহকুমা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্যাডে দু’পাতার চিঠিতে উন্নতিদেবী অভিযোগ করেছেন, সম্মান নিয়ে জেলায় রাজনীতি করা মেয়েদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ছে। উজ্জ্বলবাবু তাঁকে কী ধরনের আপত্তিকর প্রস্তাব করেছেন, বিশদে জানিয়ে উন্নতিদেবীর অভিযোগ, “আমাদের জেলায় কার্যকরী সভাপতি উজ্জ্বল মণ্ডল জেলা পর্যবেক্ষক ইন্দ্রনীল সেনের স্নেহধন্য। আমাদের জেলায় আমাদের দলেরই কর্মীদের কাছে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ইন্দ্রনীল সেনের নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন, তাই জেলায় কান পাতা যায় না...।” উজ্জ্বলের দুর্নীতির বিষয়ে ইন্দ্রনীলকে জানাতে গেলে তিনি বিষয়টা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন, জানান উন্নতিদেবী। এই অভিযোগ ‘সর্বৈব মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে উজ্জ্বল মণ্ডলের দাবি, দলের এক মহিলা বিধায়কের উস্কানিতে তাঁকে কালিমালিপ্তের চেষ্টা করছেন উন্নতিদেবী। ইন্দ্রনীলের দাবি, “অভিযোগ হাস্যকর। অধীর চৌধুরী, হুমায়ুন কবীর, দলের কিছু নেতানেত্রীর এসব ষড়যন্ত্র। তাঁরা নোংরামির শেষ পর্যায়ে গিয়েছেন।” হুমায়ুনের দাবি, ইন্দ্রনীলের বিরুদ্ধে আগেও মহিলাদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy